ঢাকা-ভোলা রুটে ‘এবার যাব বাড়ি, সঙ্গে যাবে গাড়ি’

0
107
দেশে প্রথমবারের যানবাহনসহ যাত্রীবাহী রো রো ফেরি চালু হতে যাচ্ছে ঢাকা-ভোলা রুটে। এ সেবার উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ। বৃহস্পতিবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায়

শুরু হচ্ছে ঢাকা-ভোলা রুটে যানবাহনসহ যাত্রীবাহী রো রো ফেরির যাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে এই ফেরিযাত্রার উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ফেরিযাত্রার স্লোগান ‘এবার যাব বাড়ি, সঙ্গে যাবে গাড়ি’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বীপজেলা ভোলাবাসীর জন্য আজ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। যানবাহনসহ যাত্রীবাহী রো রো ফেরি চালু হতে যাচ্ছে। তাদের যোগাযোগব্যবস্থাটা দুর্বল। আগে ভোলার মানুষ যেখানে রাতে মানুষ লঞ্চে চলাচল করত, এখন দিনের বেলায় মানুষ লঞ্চে চলাচল করে। আমরাই প্রথম দিনের বেলা লঞ্চ সার্ভিস চালু করেছি। আজকে আরও একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হলো যানবাহনসহ যাত্রীবাহী রো রো ফেরির উদ্বোধন।’

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কার্নিভ্যাল ক্রুজ ও কার্নিভ্যাল ওয়েব দুটি রো রো ফেরি নিয়ে যাত্রা শুরু হচ্ছে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-ভোলা (ইলিশা রুটে) জাহাজ দুটি চলাচল করবে। সার্ভিসটি পরিচালনায় রয়েছে কার্নিভ্যাল ক্রুজ লিমিটেড। নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যানবাহনসহ যাত্রী পারাপার ফেরি সার্ভিস পৃথিবীর অনেক দেশে আছে। আমাদের দেশে এটি নতুন। এটা আমাদের গর্বের। আমরা ফেরি সার্ভিসে আন্তর্জাতিক মানের অংশ হয়ে গেলাম।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, দেশে জাহাজ তৈরি হচ্ছে, ড্রেজার তৈরি হচ্ছে, যুদ্ধজাহাজ তৈরি হচ্ছে। একসময় উড়োজাহাজ তৈরি হবে। মেরিটাইম সেক্টরে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। আগে এক কিলোমিটার রাস্তা করার জন্য বিদেশিদের কাছে ধরনা দিতে হতো। এখন সে অবস্থা নেই। পদ্মা সেতু হয়েছে। ঢাকা শহরে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে পাতাল রেল নির্মাণ করা হবে।

কার্নিভ্যাল ক্রুজ লাইনের পরিচালক মাসুম খান জানান, যানবাহনসহ যাত্রীবাহী দুটি রো রো ফেরি ঢাকা-ভোলা (ইলিশা) রুটে চলাচল করবে। ঢাকা কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকা থেকে প্রতিদিন সকাল আটটায় ছেড়ে যাবে। ভোলার ইলিশা ঘাটে বেলা দুইটায়‌ পৌঁছাবে। ইলিশা থেকে রাত ৯টায় ফেরি ছাড়বে। তিনি আরও জানান, প্রতিটি ফেরির দৈর্ঘ্য ২০০ ফুট। ফেরিতে ৩৩০ জনের আসন ধারণক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে কেবিন ৬০টি, চেয়ার ১০০টি। এ ছাড়া ৩৫টি গাড়ির ধারণক্ষমতা রয়েছে। প্রত্যেক ফেরি নির্মাণে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এগুলো নির্মাণে তিন বছর সময় লেগেছে।

অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউর রহমান, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম ও চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.