ডিপিডি শফিকুল খুঁটি গেড়েছেন ১৪ বছর

0
100
মো. শফিকুল ইসলাম শেখ

এক-দুই বছর নয়, টানা ১৪ বছর খুঁটি গেড়েছেন একই জায়গায় অভিন্ন পদে। সরকারি কর্মকর্তার চেয়ে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিতেই ভালো লাগে তাঁর। কোনো অভিযোগ উঠলেই ছাত্রলীগের ‘নাম বেচেন’ সাবেক এই নেতা। মো. শফিকুল ইসলাম শেখ ছিলেন ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক।

২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন ‘খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন’ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি)। এর পর ২০২০ সাল থেকে তিনি ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের একই দায়িত্ব পালন করছেন। প্রায় ১৪ বছর যান্ত্রিকীকরণবিষয়ক দুই প্রকল্পের একই পদে থাকা নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে নানা গুঞ্জন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, শফিকুল নিজেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ২০০৯ সালের দিকেও যন্ত্রবিষয়ক একটি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ প্রকল্প পরিচালক হতে না পেরে প্রকল্পের কার্যক্রমে লাগিয়ে রেখেছেন ‘প্যাঁচ’।

অভিযোগের বিষয়ে শফিকুল ইসলাম শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করা লোক। ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী হয়েও আজ আমি নানা দিক থেকে বঞ্চিত। প্রকল্পের সব কার্যক্রম থেকে আমাদের দূরে রাখা হয়েছে। আমি নাকি প্রকল্প নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রচার করছি। অথচ আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। শুরুতে মন খারাপ হতো। এখন দেখছি, প্রকল্প থেকে দূরে রাখার কারণে আমি ভালো আছি। কোনো ঝামেলা নেই।’

এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘সব গুরুত্বপূর্ণ কাজেই তাঁকে রাখা হয়েছে। ক্রয় কমিটিতে তিনি ছিলেন। ডিপিপি সংশোধনের দায়িত্বও তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি নির্দিষ্ট কোনো এরিয়া নয়, সারাদেশ নিয়ে কাজ করতে চান। সেটি অনেক সময় সম্ভব হয় না। কেউ যদি নিজে কাজ থেকে দূরে থাকতে চান, তাহলে সেটি তাঁর ব্যর্থতা। আমি কাউকে দূরে রাখিনি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্প পরিচালক হতে না পারার আক্ষেপ এখনও শফিকুলকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে তিনি প্রকল্পের যে কোনো ভালো উদ্যোগে বাধা হয়ে দাঁড়ান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.