টেকনাফে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

0
92
ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হয়ে মিয়ানমারে আঘাত হানতে পারে। উত্তাল সাগরে কেউ যেন ভেসে না যান, সে জন্য তৎপর লাইফগার্ড বাহিনী।

বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা ইতিমধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থার পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেছেন, এ ঘূর্ণিঝড় আগামী রোববার দুপুরের দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। অবশ্য এর আগে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার ও এর আশপাশের এলাকা এবং সেই সঙ্গে দেশের অন্যত্র বৃষ্টি হবে। আর ঘূর্ণিঝড়ের সময় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে।

আজ শুক্রবার সকালে দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে মোখার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা জানানো হয়। আজ সকাল ১০টার দিকে এ বিজ্ঞপ্তি দেয় আবহাওয়া অফিস। সেখানে সকাল ছয়টার সময়ের মোখার গতিপ্রকৃতি তুলে ধরা হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টি, প্রবল ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। প্রবল বৃষ্টির ফলে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান

অতি প্রবল হয়ে ওঠা ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ শুক্রবার সকাল ছয়টায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে  অবস্থান করছিল
অতি প্রবল হয়ে ওঠা ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ শুক্রবার সকাল ছয়টায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে  অবস্থান করছিল, ছবি: আবহাওয়া অধিদপ্তরের সৌজন্যে

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টি, প্রবল ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। প্রবল বৃষ্টির ফলে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির যে গতিপ্রকৃতি, তাতে এটি কক্সবাজারের টেকনাফের দক্ষিণ দিক দিয়ে যাবে বলে জানান আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, মূলত টেকনাফে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। কক্সবাজারের অন্য এলাকাতেও হতে পারে।

সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হলে সেটি হয় সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়। বাতাসের গতিবেগ ৮৮ থেকে ১১৭ হলে তাকে বলা হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আর বাতাস যদি ১১৭ থেকে ২২০ কিলোমিটার বেগে বয়, তবে তা হয় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আর ২২০ কিলোমিটারের ওপরে বাতাসের গতিবেগ উঠলে তাকে সুপারসাইক্লোন বলা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.