জঙ্গি ছিনতাইয়ে অংশ নেওয়া একজন গ্রেপ্তার

0
119
সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে দুই আসামির পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমউদ্দীন সামাদকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেন জঙ্গিরা। হত্যাকাণ্ডের পর তাঁরা দুটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।

এদিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আজ দুপুরে রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এজাহারনামীয় এক আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

গত রোববার (২০ নভেম্বর) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে করে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যান জঙ্গিরা। তাঁরা হলেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। ওই দুজনসহ ১২ আসামিকে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এ ছাড়া আরও কয়েকটি হত্যা মামলারও আসামি তাঁরা।

জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দীপন, অভিজিৎসহ লেখক, প্রকাশক ও ব্লগার হত্যা মামলাগুলোর প্রধান আসামি ও আনসার আল ইসলামের নেতা বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। এতে অংশ নিয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।

সিটিটিসির ওই কর্মকর্তা জানান, মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলার ১৪ নম্বর আসামি। তবে কখন কোথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি জানাননি তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.