চাকরি শেষের দুই মাস আগে খুন পুলিশ সদস্য

0
96

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা খুন হওয়ার মাত্র ৯ দিনের মাথায় সিরাজগঞ্জে এবার খুন হলেন পুলিশ সদস্য। জেলার উল্লাপাড়ার পৌর শহরের বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের পশ্চিমে নবগ্রামে রোববার রাতে মোয়াজ্জেম হোসেনকে (৫৮) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। চাকরি জীবনের আর মাত্র দুই মাস বাকি ছিল তাঁর। গলায় গামছা পেঁচিয়ে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধে তাঁকে খুন করা হয় বলে ধারণা পুলিশের।

খবর পেয়ে গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল, পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিমসহ পুলিশের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ সদস্য খুনের ঘটনায় জেলা পুলিশ ও উল্লাপাড়া থানা জোরেশোরে তদন্ত শুরু করেছে। সিআইডি, পিবিআই ও ডিবি পুলিশও পৃথক ছায়াতদন্তে নেমেছে। খুনের ঘটনায় জঙ্গি, সর্বহারা বা নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলার সংশ্নিষ্টতা নেই বলে প্রাথমিকভাবে দাবি তাদের। তবে হত্যার নেপথ্যে আর কোনো ঘটনা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশের সবকটি তদন্ত দল।

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ভোগলমান বাজারে সর্বহারা পরিচয়ে একদল সন্ত্রাসী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কুদ্দুস সরকারকে গুলি করে হত্যা করে। তবে ওই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন বা মূল খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়ার ৯ দিনের ব্যবধানে জেলায় আরেকটি খুন হওয়ায় বিব্রত পুলিশ কর্মকর্তারা।

নিহতের স্ত্রী হেনা পারভীন জানান, চার ছেলেমেয়ে নিয়ে সচ্ছল সংসার তাঁদের। বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী পুলিশের এসআই হিসেবে অভিবাসন সুযোগে সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে কানাডায় গেছেন। মেজো ছেলে প্রকৌশলী, ঢাকায় চাকরি করেন। ছোট মেয়ে ঢাকায় উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি আরও বলেন, ঘটনার রাতে ওই বাড়িতে ছিলাম না। পার্শ্ববর্তী শাহজাদপুর উপজেলার জামিরতায় আমাদের গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। চাকরির সুবাদে সেখান থেকে গত ১৫ বছর আগে আমাদের উল্লাপাড়ায় বসবাস শুরু হয়। মাঝে মধ্যে টাকা ধার চেয়ে দু-একজন বাড়িতে আসতেন। ধার না পেয়ে কেউ কেউ অসন্তুষ্টও হতেন।

পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, এ হত্যার ঘটনায় কোনো জঙ্গি, সর্বহারা ও পূর্ব বাংলার সংশ্নিষ্টতা নেই বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। খুনের রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কাজ করছে।

পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বিকেলে জানান, ঘটনার রাতে তিনি একাই বাড়িতে ছিলেন। তাঁকে হত্যা নিশ্চিত করেই দুর্বৃত্তরা পালিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে পূর্বশত্রুতা, নারীঘটিত, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অর্থ লুটসংক্রান্ত আছে কিনা, ছায়া তদন্ত করা হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.