চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

0
135
চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা

ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ৫ নভেম্বর উপাচার্য শিরীণ আখতার বরাবর চিঠি দেন শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার তাঁরা ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় ১০ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম নগরের বাদশা মিয়া সড়ক অবরোধ করেন।

জয় ভট্টাচার্য ও মেহেদী আলম নামের ইনস্টিটিউটের দুই শিক্ষার্থী বলেন, ২ নভেম্বর থেকে তাঁরা ক্লাস বর্জন করে মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। আজ তাঁদের আন্দোলন ১৪তম দিনে গড়িয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হবে কি না, সেই উত্তর কেউ দিচ্ছেন না। তাই তাঁরা আজ ইনস্টিটিউটের ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত অবরোধ চলবে।

এদিকে বিষয়টি সমাধানে ১১ নভেম্বর একটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১৪ সদস্যের এই কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক (ছাত্র উপদেষ্টা) আবদুল্লাহ মামুন।

জানতে চাইলে আবদুল্লাহ মামুন বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কমিটির কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। আজও একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়া চলমান। তবে শিক্ষার্থীদের আজকের অবরোধ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।

ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শহীদ বলেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের পাঁচ দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো সিদ্ধান্ত পাননি। তাই তাঁরা আজ অবরোধ করছেন। সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাঁদের অবরোধ চলবে।
কমিটির কার্যক্রম চলার মধ্যে শিক্ষার্থীদের এমন ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণ’ দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ চলছে।

ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে আনতে কাগজপত্রের নানা জটিলতা রয়েছে। এর জন্য সময় প্রয়োজন।

চবিতে চারুকলা বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। ২০১০ সালে নগরের সরকারি চারুকলা কলেজের সঙ্গে এক হয়ে গঠিত হয় চারুকলা ইনস্টিটিউট।

ইনস্টিটিউটের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে নগরের মেহেদীবাগের বাদশা মিয়া সড়কে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫৩ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ১৭৯ জন, ছাত্র ১৭৪ জন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইনস্টিটিউটের শ্রেণিকক্ষগুলোর অবস্থা জীর্ণশীর্ণ। ছাত্রীদের জন্য মাত্র একটি শৌচাগার আছে। আবাসনসুবিধা পান মাত্র ১৩ শিক্ষার্থী। গ্রন্থাগারে বই নেই। ডাইনিংয়ে খাবারের ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় তাঁরা মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে চান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.