গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে ইহুদিদের বিক্ষোভ

0
51
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা অবিলম্বে বন্ধ ও যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে ইহুদিদের বিক্ষোভ, ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা অবিলম্বে বন্ধসহ যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে বিক্ষোভ হয়েছে। এ বিক্ষোভে অনেক ইহুদি অংশ নেন। তাঁরা যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েল সরকারকে চাপ দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার হওয়া এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রায় ১০০ জন অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে কালো টি-শার্ট পরেছিলেন। টি-শার্টে ‘ইহুদিরা এখনই যুদ্ধবিরতি চায়’, ‘আমাদের নামে (যুদ্ধ) নয়’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা ছিল। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইহুদিদের কেউ কেউ ঐতিহ্যবাহী ‘কিপ্পাহ’ টুপি পরে এসেছিলেন।

রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্র্যান্ডন উইলিয়ামস ইসরায়েলের পতাকা উড়িয়ে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের প্রতি সংহতি জানান।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল জিউশ ভয়েস ফর পিস নামে ইহুদিদের একটি সংগঠন।

ফিলাডেলফিয়া থেকে বিক্ষোভে অংশ নিতে এসেছিলেন ৭১ বছর বয়সী লিন্ডা হল্টজম্যান। বাইডেনের উদ্দেশে লিন্ডা বলেছেন, ‘চোখ খুলে দেখুন। যুদ্ধবিরতির জন্য অবিলম্বে উদ্যোগ নিন।’

৩২ বছর বয়সী হান্নাহ লরেন্সের বাড়ি ভারমন্টে। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল সরকারকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতে সক্ষম বর্তমান বিশ্বে এমন একমাত্র ব্যক্তি হলেন বাইডেন। এ কারণে অসহায় মানুষদের জীবন বাঁচানোর জন্য বাইডেনের শক্তি প্রয়োগ করা উচিত।

বিক্ষোভে অংশ নেন ক্যানন রোতুন্দা। তাঁর হাতে ছিল ব্যানার। দেন যুদ্ধবিরোধী স্লোগান। ক্যানন বলেছেন, বিক্ষোভ থেকে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ব্যানার খুলে ফেলছে। কয়েকজনকে হাতকড়া পরিয়েও নিয়ে যেতে দেখা যায়।

পরে ইউএস ক্যাপিটল পুলিশের পক্ষ থেকে এক্স (টুইটার) বার্তায় বলা হয়, ‘আমরা বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের বিক্ষোভ থামাতে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা শোনেননি। কংগ্রেস ভবনে বিক্ষোভ চালিয়ে যান তাঁরা। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ সংঘাতে দুই পক্ষের চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে স্থল অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া গাজা থেকে পালানোর সময় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা চালানোর খবর এসেছে। হামলা হয়েছে গাজার হাসপাতালেও।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.