খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন

0
72
হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াছবি: বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সৌজন্যে

স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে পাঁচ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ২৯ এপ্রিল শনিবার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শনিবার থেকে পাঁচ দিন হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।

খালেদা জিয়ার বাড়িতে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে তিনি বাসায় পৌঁছান।

নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এবার খালেদা জিয়ার হৃদ্‌যন্ত্র , লিভার (যকৃৎ) ও কিডনির বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে।

বিএনপি নেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের যেসব পরীক্ষা করানো হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে চিকিৎসকদের বোর্ড তাঁর বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি আজ বিকেলে ঢাকায় গুলশানের বাসায় ফিরেছেন। বাড়িতে থেকেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলবে।

গত বছরের জুন মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। বাকি দুটি ব্লক তখন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। এ ছাড়া তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সে সময় বাকি দুটি ব্লকে রিং পরানো হয়নি। এখন তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়েছে। ৭৮ বছর বয়স্ক খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, যকৃৎ, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাঁকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। এর পর থেকে তাঁর দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.