কুড়িয়ে পাওয়া মর্টারশেলকে ভাবলেন গুপ্তধন, কাটতে দিয়ে পা বিচ্ছিন্ন

0
109
পরিত্যক্ত মর্টারশেল বিস্ফোরণে আহত হয়ে হাসপাতালে বাবু মিয়া

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে কুড়িয়ে পাওয়া পরিত্যক্ত মর্টারশেল বিস্ফোরণে বাবু মিয়া নামে এক ব্যক্তি মারাত্মক আহত হয়েছেন। এতে তার ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং বাম পা ঝলসে গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার এলাকায়।

মাটি কাটতে গিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া মর্টারশেলটি বাড়িতে কাটার চেষ্টা করলে তা বিস্ফোরিত হয়। আহত বাবু মিয়া দেওয়ানের খামার গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। পেশায় গাড়ির লেদ মিস্ত্রি। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, লেদ মিস্ত্রি বাবু মিয়ার মামা আব্দুল গফুর একই এলাকার আজিজ কমান্ডারের বাড়ির পাশে পুকুরের মাটি কাটার সময় ভারি লোহার বস্তু পান। সেটিকে গুপ্তধন ভেবে বাবুর সঙ্গে পরামর্শ করেন। পরে বাবু লোহার বস্তুটির ভেতরে কি আছে জানার জন্য মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ির রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে লোহা কাটার গ্রান্ডার মেশিন দিয়ে মর্টারশেলটি কাটা শুরু করেন। এ সময় বিকট শব্দে তা বিস্ফোরিত হয়।

এতে বাবুর ডান পায়ের গোড়ালিসহ হাঁটুর কাছাকাছি পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বাম পা ঝলসে যায়। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রংপুরে পাঠানো হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, মর্টারশেলটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের। সেটি বিস্ফোরিত হয়ে রান্না ঘরের টিনের বেড়া ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। লোহার গেট ফুটো করে পাশের ফিলিং স্টেশনের বাউন্ডারি ওয়ালে গিয়ে আচঁড়ে পড়ে। ঘটনার পর থেকে বাবুর মামা গফুর পলাতক রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ভুরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান  জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। বস্তুটি পরিত্যক্ত মর্টারশেল ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুপ্তধন ভেবে তারা সেটির ভেতরে কি আছে দেখতে কাটতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমরা একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.