এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে যানজট কিছুটা হলেও কমবে: ওবায়দুল কাদের

0
120
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ চালু হলে যানজট কিছুটা হলেও কমবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (কাওলা-ফার্মগেট অংশ) উদ্বোধনের সুধী সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করবেন।

এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ১০ থেকে ১১ মিনিটের মধ্যে কাওলা থেকে ফার্মগেটের তেজগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে। এর সুফল রাজধানীবাসী পাবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ পদ্মা সেতুর সুফল পাচ্ছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ পর্যন্ত চালু করা মেট্রোরেলের সুবিধাও মানুষ ভোগ করছে। অক্টোবরে যখন মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়ে যাবে, তখন আরও বেশি সুবিধা মানুষ পাবে। তখন যান চলাচল আরেকটু সহজ হবে, যানজটের বিরাজমান পরিস্থিতির লাঘব হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকার যানজট পরিস্থিতির সমাধান হয়তো আজকেই পাওয়া যাবে না। তবে কিছুটা তো পাওয়া যাবে। মেট্রোরেলের সব কটি লাইন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হলে ঢাকা আরও আধুনিক শহরের রূপ নেবে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বিএনপি সরকারের পতনের কথা বলে আসছে। তারা সমাবেশ, পদযাত্রা, মানববন্ধন করেছে। সর্বশেষ গণমিছিল, কালো পতাকাসহ মিছিল করেছে। এসব কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগের সরকারকে ধাক্কা দেওয়ার মতো উত্তাল তরঙ্গমালা কোথা থেকে আসবে, তা তিনি জানেন না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের জন্য যে বিষয়গত প্রস্তুতি দরকার, তা নেই। বিএনপি শুরুতে যে জোট ও সমমনাদের সম্মিলন ঘটিয়েছিল, এখন আর তা নেই। এখন দলে দলে নানা বিভক্তি। বিএনপির সরকার পতনের ভাবনা তো দূরের কথা, তারা নিজেদের অস্তিত্ব নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছে।

আওয়ামী লীগের জনসমর্থন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাঁরা বিভিন্ন শহরসহ সারা দেশে যেসব সমাবেশ করেছেন, তাতে জনগণের অবিশ্বাস্য অংশগ্রহণ ছিল। তাঁরা শুধু কথা বলার জন্য সমাবেশ ডাকেন না। তাঁরা যে কাজও করছেন, তা জনগণকে দেখান। আগামী কালকের অনুষ্ঠানেও জনগণের ব্যাপক উপস্থিতি আশা করছেন তাঁরা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষ শুধু কথা শুনতে চায় না, কাজও দেখতে চায়। তাঁরা কাজও দেখাবেন, কথাও বলবেন। তাঁরা কথা দিয়ে যে কথা রাখেন, তা প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল দেশের জনগণকে বিস্তারিতভাবে জানাবেন।

প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বেলা সাড়ে তিনটায় শেরেবাংলা নগরের পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়ের উল্লিখিত অংশের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পরের দিন এক্সপ্রেসওয়ের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এ অংশে বোর্ডিংয়ের জন্য ১৫টি র‌্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বনানী ও মহাখালীর দুটি র‌্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকবে। বাকি ১৩টি র‍্যাম্প খুলে দেওয়া হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।

সাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে পারবে না। পথচারীরাও এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে পারবেন না। আর মোটরসাইকেলের চলাচল আপাতত বন্ধ থাকবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.