এবার সরকারি সুবিধা ছেড়ে ভোটের মাঠে জি এম কাদের

0
86
জি এম কাদের

সফরসূচি বদল করে শনিবারের পরিবর্তে আজ শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারে রংপুর গিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (জাপা) জি এম কাদের। গতকাল সংবাদ প্রকাশের পর সরকারি সুবিধা ছেড়ে আকাশপথের পরিবর্তে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সড়কপথে গিয়েছেন। সরকারি গাড়ি এবং প্রটোকল রেখে ব্যক্তিগত গাড়িতে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবন থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন জাপা চেয়ারম্যান।

বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে জি এম কাদের ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’। নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ১৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনী প্রচারে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ড যোগ করতে পারবেন না।’

অথচ গত বৃহস্পতিবার উপনেতার কার্যালয়ের চিঠিতে জি এম কাদেরের রংপুর যাত্রাকে সরকারি সফর বলা হয়। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সফরসঙ্গী হবেন জানিয়ে সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বেতন-ভাতা ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন জি এম কাদের। তার সফরের খরচ বহন করে সরকার।

জি এম কাদের আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী। উপনেতার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আবু তৈয়ব স্বাক্ষরিত বৃহস্পতিবারের চিঠিতে বলা হয়েছিল, জি এম কাদের শনিবার আকাশপথে নীলফামারীর সৈয়দপুর হয়ে রংপুর যাবেন। একইভাবে সোমবার ঢাকায় ফিরবেন।

আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী এবং তাদের সমমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, এমপি এবং সিটি করপোরেশনের মেয়ররা সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ১৪(১) উপধারা অনুযায়ী, তারা ভোটের প্রচারে সরকারি যানবাহন, প্রচারযন্ত্র এবং অন্য কোনো রকম সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্যবহার করতে পারবেন না।

রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির সমকালকে জানিয়েছেন, শনিবারের পরিবর্তে আজ রাতে সড়কপথে রংপুরে এসেছেন জি এম কাদের। শনিবার ও রোববার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন। পরে তিনি পথসভা ও গণসংযোগ করবেন।

ভোটের প্রচারে জি এম কাদেরের রংপুর যাত্রা সরকারি সফর হিসেবে গণ্য হলে বিমান ভাড়াসহ সব খরচ সরকারের কোষাগার থেকে মেটানো হতো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.