এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে হয়েছে ৯ দশমিক ২৪%

0
108
মূল্যস্ফীতি

গত মাসে দেশে মূল্যস্ফীতির হার মার্চের তুলনায় সামান্য কমেছে। এপ্রিলে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। তার আগের মাসে অর্থাৎ মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আজ বুধবার মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বিবিএসের হিসাবে, এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিই ছিল সবচেয়ে বেশি, ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মার্চের তুলনায় এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি আগের মাসের মতোই রয়েছে। গত মাসে দেশে ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। তাতে পোশাক–আশাকসহ খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের চাহিদা ছিল বেশি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমার কারণেই মূলত গত মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার আগের মাসের তুলনায় খানিকটা কমেছে। মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। এই হার গত মাসে ৯ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

বিবিএসের হিসাব বলছে, মূল্যস্ফীতির চাপ গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলেই বেশি। গত মাসে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।

এখন পর্যন্ত চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরের দশ মাসের (জুলাই–এপ্রিল) মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস। এর মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল গত মাসে, অর্থাৎ এপ্রিলে। চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল গত আগস্টে, ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল গত মার্চে, ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.