একবার জাল ফেলেই পেলেন ৩৯ লাখ টাকার ইলিশ

0
118
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের কাছে জাল ফেলে নোয়াখালীর জেলে মিজান মাঝি ৯৬ মণ ইলিশ পেয়েছেন

পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের শেষ বয়ার কাছে জাল ফেলে মিজান মাঝি (৪৫) নামের এক জেলে ৯৬ মণ ইলিশ পেয়েছেন। পরে তিনি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকায় মাছগুলো বিক্রি করেন।

মিজান মাঝি রোববার বিকেলে জাল তোলার পর এই পরিমাণ মাছ পান। পরের দিন সোমবার দুপুরে মাছগুলো নিয়ে তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মৎস্য বন্দর মহিপুরে ফেরেন। বিকেলে এখানকার ফয়সাল ফিশ নামের একটি আড়তে সর্বোচ্চ ডাকের মাধ্যমে তিনি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকায় ৯৬ মণ মাছ বিক্রি করেন।

মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফয়সাল ফিশের মালিক মো. ফজলু গাজী বলেন, গত পাঁচ দিন আগে নোয়াখালীর সামরাজ থেকে মাছ ধরার জন্য মিজান মাঝি তাঁর ট্রলার নিয়ে সাগরে যান। পায়রা বন্দরের শেষ বয়ার কাছাকাছি জাল ফেলেন তিনি। জাল তোলার পর তিনি ৯৬ মণ ইলিশ মাছ পান। মৌসুমের শুরুতে এক জালে এত মাছ পড়ার খবর খুবই আনন্দের। এ বছর বেশি পরিমাণে মাছ পাওয়া যাবে বলে তিনি ধারণা করছেন। জেলেরা সবাই কমবেশি মাছ পাচ্ছেন।

নোয়াখালী এলাকার এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মালিক মিজান মাঝি বলেন, ‘৬৫ দিন ধরি মাছ ধরা নিষেধ ছিল। আমরা সাগরে নাইমতে পারিনি। অবরোধ উঠি যাওয়ার পর সাগরে নাইমলাম। এত মাছ পাইমু চিন্তাও করি নাই। ধারদেনায় আই জর্জরিত হই গেছি। মাছ বিক্রি করি যে টেয়া হাইছি, হেগুন দি আগিলা দেনা শোধ করি দিমু।’

সাগর থেকে ফিরে আসা এফবি মরিয়ম ট্রলারের মাঝি আবদুল মন্নান বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর জেলেরা মাছ ধরতে সাগরে নামতে না নামতেই আবহাওয়া খারাপ হয়। আবহাওয়া ভালো হওয়ার পর আবার জেলেরা সাগরে যান। সবাই এবার ভালো পরিমাণে মাছ পাচ্ছেন। সামনে আরও বেশি পরিমাণে মাছ ধরা পড়বে বলে তিনি মনে করেন।

কলাপাড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘মৎস্য বিভাগ কর্তৃক সাগরবক্ষে ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। জেলেরা তা প্রতিপালন করে চলেছেন। জেলেদের জালে এখন বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে, এটা তারই সুফল।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.