এই ঘনকুয়াশা আরো ক‘দিন থাকবে, আবহাওয়া অধিদপ্তর যা বলেছে

0
99
ঘন কুয়াশার চাদরে আবৃত রাজধানী ঢাকা। বুধবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তোলা ছবি - ফোকাস বাংকা

বুধবার সকাল থেকেই কুয়াশার চাদরে আবৃত রাজধানী ঢাকা। সারাদিনে দেখা মেলেনি সূর্যের। দেশের অন্যত্রও বিস্তৃত ছিল কুয়াশার চাদর। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন কুয়াশা আরও দু-তিন দিন থাকবে। তবে একটানা হয়তো থাকবে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কিছু জায়গায় রোদের দেখা মিলতে পারে। দু-এক দিন পর ফের বেশি মাত্রায় কুয়াশা দেখা দিতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাপমাত্রার তুলনায় শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ উত্তরের হিমেল বাতাস। দেশজুড়ে এমন বাতাস বইতে পারে আরও কয়েক দিন। আজ রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, প্রাকৃতিক দুটি শর্ত পূরণ না হওয়ায় কুয়াশা কাটছে না। এর একটি হলো পশ্চিমা লঘুচাপের ফলে বৃষ্টি হচ্ছে না। আরব সাগর থেকে আর্দ্রতা বহন করে নিয়ে এসে এ বৃষ্টি হয়। হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলে তাতে জলীয় বাষ্প চলে যায় এবং কুয়াশাও দূর করতে পারে। এতে রাতের তাপমাত্রা কমে গেলেও দিনের তাপ বাড়ে। দ্বিতীয়ত, ওপরের বাতাসের (জেট উইন্ড) নিম্নগামী হওয়া। সাধারণত ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২ থেকে ১৮ হাজার ফুট ওপর দিয়ে এ হাওয়া বয়ে যায়। ঘণ্টায় এটি ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায়। এটি নিচে নেমে এসে প্রচণ্ড বাতাস সৃষ্টি করলে তার ধাক্কায় জলীয় বাষ্প সরে যায়। কিন্তু সেটিও এখন হচ্ছে না। তাই কুয়াশাও কাটছে না।

এখন যে কুয়াশা হচ্ছে, তা স্থানীয়ভাবে সৃষ্টি ও তাপমাত্রার তারতম্যের জন্যই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, এর আরেকটি উৎস হচ্ছে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বয়ে আসা কুয়াশা। এটি পুরো গঙ্গা অববাহিকা দিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে, ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ডিসেম্বরে সারা দেশে গড় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। চলতি জানুয়ারিতেও দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। তবে দেখা যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.