রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলছে ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব ২০২৩’। এ উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে তাঁদের ভাবনা জানিয়েছেন। এখানে পড়ুন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সহিদ আকতার হুসাইনের বক্তব্য।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি গুণগত শিক্ষায় বিশ্বাস করে। শিক্ষাবিদ, শিল্পপতি, প্রকৌশলী এবং অবসরপ্রাপ্ত বেসামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একদল শিক্ষানুরাগী ২০০৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁরাই বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল অপেক্ষাকৃত কম টিউশন ফিতে মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা দেওয়া। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আজ্জমের নেতৃত্বে নানা কার্যক্রম একযোগে এগিয়ে চলছে।
শিক্ষার্থীদের জন্য নানা উদ্যোগ
শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারের উপযোগী করে তুলতে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে সামার ২০২৩ সেমিস্টার থেকে ইসলামিক ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিষয়ে বিবিএ ও এমবিএ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। এই প্রোগ্রামে অধ্যয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্মার্ট ইসলামি ব্যাংকার হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পাবেন। স্প্রিং ২০২৩ থেকে সুপরিসর সর্বাধুনিক ল্যাব ও অন্যান্য সুবিধা নিয়ে শুরু হয়েছে ফার্মেসি ও পুরকৌশল বিভাগের কার্যক্রম।
সহশিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করতে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে মোট ২৩টি ক্লাব আছে। একজন শিক্ষার্থীকে শুধু শ্রেণিকক্ষে পাঠদানই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কারণে সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া জরুরি।
অ্যালামনাইদের ভূমিকা
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পাস করে বের হয়েছে। তাদের অনেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নামীদামি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। অ্যালামনাইদের তথ্য সংরক্ষণ ও তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে পৃথক অফিস আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন বিভাগে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন করা হয়েছে।
তাঁরা পুনর্মিলনী থেকে শুরু করে নানা কাজে নিজেকে যুক্ত করছেন। এ বছর মার্চে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে জাঁকজমকপূর্ণভাবে।
অর্জনের খাতা
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ ও মুট কোর্টের বেশ কিছু অর্জন আছে। ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আইন বিভাগের কার্যক্রম চলছে। মুট কোর্টের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১০ সালে। ২০১৫ সালে তারা প্রথম সাফল্য পায়। সেই সাফল্যের ধারাবাহিতায় ২০২২ সালের অর্জন সবচেয়ে বেশি। ওই বছর মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত ‘স্টেটসন ইন্টারন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ল মুট কোর্ট’–এর পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক পর্বে বিজয়ী হয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি মুট কোর্ট দল। এর মধ্য দিয়ে ওই বছর এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রাউন্ডের জন্যও উত্তীর্ণ হয়। সেই রাউন্ডে অংশ নেওয়া ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডভান্সড রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়, যার মধ্যে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি মুট কোর্ট দল ছিল অন্যতম। বাংলাদেশের কোনো দল হিসেবে প্রথম এই ইভেন্টে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার সুযোগ পায় আমাদের শিক্ষার্থীদের দল।