আয়ারল্যান্ডকে চমকে দিল ওমান, আরব আমিরাতকে উড়িয়ে দিল শ্রীলঙ্কা

0
118
আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে ওমান, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে, আইসিসি

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আইসিসির পূর্ণ সদস্য আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দিয়েছে ওমান। বুলাওয়েতে কাশ্যপ প্রজাপতি, আকিব ইলিয়াস, অধিনায়ক জিশান মাকসুদ ও মোহাম্মদ নাদিমের ব্যাটিংয়ে ভর করে আইরিশদের দেওয়া ২৮২ রানের লক্ষ্য ১১ বল ও ৫ উইকেট বাকি থাকতেই পেরিয়ে গেছে ওমান। আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে ওমানের এটি প্রথম ওয়ানডে জয়, সব মিলিয়ে ২২তম। দিনের অন্য ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। সেটিও ১৭৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ডকে ৫১ রানের ওপেনিং জুটিতে ভালো শুরু এনে দেন পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। তবে দুজনই ২০ পেরিয়ে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৬৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর লোরকান টাকারকে নিয়ে ৩৮ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন হ্যারি টেক্টর। টাকারও ভালো শুরু পান, তবে ১৮ বলে ২৬ রান করেই থামতে হয় তাঁকে।

আয়ারল্যান্ডকে এরপর টানেন জর্জ ডকরেল ও টেক্টর। ১০২ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৮২ বলে ৫২ রান করে টেক্টর থামলেও ডকরেল ছিলেন শেষ পর্যন্ত। গ্যারেথ ডিলানি, মার্ক অ্যাডাইর ও গ্রাহাম হিউমকে নিয়ে তিনি যোগ করেন আরও ৯৫ রান। ৮৯ বলে ৯১ রানের ইনিংসে ডকরেল ৭টি চারের সঙ্গে মারেন ২টি ছক্কা।

ওমানের রান তাড়ায় নেতৃত্ব দেন কাশ্যপ প্রজাপতি
ওমানের রান তাড়ায় নেতৃত্ব দেন কাশ্যপ প্রজাপতি, আইসিসি

রান তাড়ায় ওমানের শুরুটা ভালো ছিল না মোটেও, চতুর্থ ওভারে ৯ রান তুলতে ওপেনার যতীন্দর সিংকে হারায় তারা। তবে এরপর উইকেটের অপেক্ষা বাড়ে আইরিশদের। প্রজাপতি, আকিবের পর ফিফটি পান জিশান, ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন নাদিম। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট জুটির প্রতিটিতে অন্তত ৫০ রান তোলে ওমান, জয়ের পথটাও মসৃণ হয় তাতেই। ৪৫তম ওভারে পঞ্চম উইকেট পড়লেও শেষ ৩০ বলে ওমানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ২২ রান। সে সমীকরণ তাড়া করতে গিয়ে পা হড়কায়নি তারা। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হন অধিনায়ক জিশান, ফিফটি করার আগে ১টি উইকেটও নেন তিনি।

ভারতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে বাছাইপর্বের ফাইনালে অন্তত উঠতে হবে। সেখানে প্রথম ম্যাচে ওমানের কাছে হেরে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি, ‘আমাদের মনে হয়েছিল ভালো রানই তুলেছি। ওয়ানডে ম্যাচে ২৮০ রানের স্কোর তো বেশ ভালো। তবে তাদের বিপক্ষে বোলিং করা মাঝেমধ্যে কঠিন হয়ে উঠছিল। তবে আমরা ম্যাচেই ছিলাম।’

৬ উইকেট নিয়ে আরব আমিরাতকে গুঁড়িয়ে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা
৬ উইকেট নিয়ে আরব আমিরাতকে গুঁড়িয়ে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাআইসিসি

বুলাওয়েতে অন্য ম্যাচে টুর্নামেন্টের আরেক ফেবারিট শ্রীলঙ্কার শুরুটা হয়েছে দারুণ। আরব আমিরাত টসে জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল তাদের। শ্রীলঙ্কা ইনিংসে কেউ সেঞ্চুরি পাননি, তবে ৫০ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ৩৫৫ রান। শ্রীলঙ্কার প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৪৮ রানের। চারিত আসালাঙ্কা সে ইনিংস খেলেন মাত্র ২৩ বলে। কুশল মেন্ডিস করেন সর্বোচ্চ ৭৮ রান, সাদিরা সামারাবিক্রমা করেন ৭৩ রান। শেষ ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কা তোলে ১০৮ রান, শেষ দিকে আসালাঙ্কার সঙ্গে ১২ বলে ২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও।

সেই হাসারাঙ্গাকে সামলাতে এরপর হিমশিম খেতে হয়েছে আরব আমিরাতকে। এই লেগ স্পিনার নেন ২৪ রানে ৬ উইকেট, যেটি তাঁর ক্যারিয়ার–সেরা বোলিং। আরব আমিরাতের স্কোর একসময় ১৬ ওভার শেষেও ছিল ১ উইকেটে ৮২ রান। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে নিজের প্রথম উইকেটটি নেন হাসারাঙ্গা। ৩৯তম ওভারের মধ্যেই ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.