আরব সাগরে ইসরায়েলি জাহাজে ড্রোন হামলা

0
100
ইসরায়েলি জাহাজে ড্রোন হামলা

আরব সাগরের ভারতীয় উপকূলে পণ্যবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা হয়েছে। এ হামলায় জাহাজে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি। জাহাজটি ইসরায়েলের পণ্য বহনের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানায়, হামলায় জাহাজের কিছু কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে এবং পাটাতনে পানি প্রবেশ করেছে। হামলার শিকারের আগে জাহাজটি সর্বশেষ সৌদি আরবকে ফোন করেছিলেন এবং ভারতের দিকে যাচ্ছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী বা সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস অ্যান্ড মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে বলেছে, ভারতের উপকূলে একটি বাণিজ্য জাহাজ মনুষ্যবিহীন ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী রাসায়নিক পণ্যের জাহাজটি ইসরায়েল-অধিভুক্ত বলেও জানায় সংস্থাটি।

মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত মাসে ভারত মহাসাগরে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি কার্গো জাহাজে ড্রোন হামলা চালায়।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে লোহিত সাগরে ইরান-সমর্থিত হুথিদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বেড়েছে। হুথিরা বলেছে, তারা হামাসকে সমর্থন করে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত সব বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে যাবে। তবে ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলি জাহাজে কারা হামলা চালালো সেটি এখনো পরিষ্কার নয়।

এর আগে গত সোমবার আরব সাগরে মাল্টার পতাকাবাহী একটি জাহাজ থেকে এক আহত নাবিককে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই জাহাজটি জলদস্যুদের হামলার শিকার হয়েছিল। দস্যুদের হটিয়ে দিতে সেটিতে অভিযান চালান ভারতীয় সেনারা। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলি জাহাজে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটল।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে জাহাজ চালকেরা পথ পরিবর্তন করে আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্তের চারপাশ দিয়ে ঘুরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউস বলেছে, ইরান লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের হামলার পরিকল্পনায় ‘গভীরভাবে জড়িত’। পেন্টাগনের মতে, হুথিরা ৩৫টিরও বেশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জড়িত ১০টি বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্য করে ১০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা নাকদি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা গাজায় ‘অপরাধ’ অব্যাহত রাখলে ভূমধ্যসাগর বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা শীঘ্রই ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালী, এবং অন্যান্য জলপথ বন্ধ করার সঠিক সময়ের অপেক্ষায় রয়েছি।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.