আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার অধিকার নেই: আইনমন্ত্রী

0
108
আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে সাংবাদিক মহলের আপত্তির ধারাগুলোর আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে মাত্র চারটি আমলযোগ্য অপরাধ (কগনিজিবল অফেন্স) আছে। আর সব অ–আমলযোগ্য অপরাধ (নন–কগনিজিবল অফেন্স)। আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার অধিকার কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেই। যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে, এটা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যাখ্যা।’

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগদানের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে টেকনিক্যাল অপরাধ, হ্যাকিং ও কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে, সে জন্য ১৪ বছরের সাজার বিধান রয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল, সেসব ধারা আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। বিনা পরোয়ানায় যে গ্রেপ্তারের কথা বলা হচ্ছে, সেটার কিন্তু শর্ত আছে। একটি হচ্ছে, এটা আমলযোগ্য অপরাধ হতে হবে।’

বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আপনারা দেখেন ইতিহাস। ইতিহাস দেখলে দেখবেন, তারা কোনো দিন প্রথম কিন্তু সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসে নাই। সব সময় পেছনের দরজা দিয়ে আসছে। ভোট চুরি করছে। মানুষকে ভোট দিতে দেয় নাই। আর ক্ষমতায় বইসা তারপর তারা দল সৃষ্টি করেছে।’

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার চাকা কিন্তু উল্টা দিকে ঘুরানোর চেষ্টা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান যারা খুনি–রাজাকার, তাদের নিয়ে সরকার গঠন করেছিল। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। জিয়াউর রহমানের হত্যার পর এরশাদও ঠিক তা–ই করার চেষ্টা করেছিল।’

আনিসুল হক আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা খুন করেছিল, তাদের জিয়াউর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়ে রাষ্ট্রদূত বানাই দিছিল। আর এরশাদ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন এই খুনিদের ফ্রিডম পার্টি করতে দিয়ে রাষ্ট্রপতির নির্বাচন যাতে বৈধ হয়, সেই জন্য তাদের প্রার্থী হতে অনুমতি দিয়েছিল। আর খালেদা জিয়া একজন খুনিকে বিরোধীদলীয় নেতা বানাই দিছিল। আমি প্রথমেই বলেছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চাকাটা উল্টা দিকে ঘোরানো হয়েছিল। এই গুলি হচ্ছে তার প্রমাণ।’

আগামী নির্বাচন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বলে উল্লেখ করেন আনিসুল হক। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.