লিগের প্রথম ম্যাচে অ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের কাছে হারে বার্সেলোনা। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে বার্সার জালে শুরুতে গোল দিয়ে দেয় রিয়াল বেটিস। ক্যাম্প ন্যুর ৮০ হাজার দর্শক তখন গর্জে ওঠে। মেসি না থাকার হতাশা প্রকাশ করে। তবে পরের সময়টা ফ্রান্স তারকা অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান জাদুতে নিজেদের করে নেন কাতালানরা। বার্সার হয়ে গ্রিজম্যান জোড়া গোল করে খাতা খোলেন। দলকে এনে দেন ৫-২ গোলের জয়। মেসি যে মাঠে ছিলেন না বুঝতেই দেননি বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা।
বার্সার হয়ে আনুষ্ঠানিক অভিষেক ম্যাচে বিবর্ণ ছিলেন গ্রিজম্যান। জায়গা তৈরি করতে পারেননি। মেসির অনুপস্থিতিতে, সুয়ারেজ ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়লে দলকে আগলে রাখতে পারেননি তিনি। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের সাবেক ফুটবলারের হয়তো কিছুটা আড়ষ্টতা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই সেই আড়ষ্টতার ছুটি দিয়ে দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন ক্যাম্প ন্যু মাতাতে এসেছেন তিনি।
গ্রিজম্যান ম্যাচের ৪১ মিনিটে নিজের এবং বার্সার হয়ে প্রথম গোল করেন। ঘরের মাঠে ১-১ গোলের সমতার স্বস্তি নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে কাতালানরা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই (৫০ মিনিটে) দলকে ২-১ গোলের লিড এনে দেন গ্রিজু। এরনেস্তো ভালভার্দের শিষ্যরা ছন্দ পেয়ে যায়। ম্যাচের ৬০ মিনিটের মধ্যে আরও দুই গোল করে বার্সেলোনা। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে গোল করেন কার্লেস পেরেজ। এরপর স্পেন রাইটব্যাক জর্ডি আলবা দলকে ৪-১ গোলের লিড এনে দেন। দলকে বড় জয়ের পথে এগিয়ে নেন।
এরপর ৭৭ মিনিটে রিয়াল বেটিসের জালে পঞ্চম গোল দেন চিলি মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদাল। তার দুই মিনিট পরেই অবশ্য এক গোল শোধ দেয় বেটিস। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই দলকে জয় এনে দেওয়া পারফরম্যান্স করায় গ্রিজম্যানকে প্রশংসায় ভাসান বার্সা কোচ ভালভার্দে, ‘আমাকে মানতেই হবে যে, এটা গ্রিজম্যানের দিন। দল ইনজুরিতে জর্জরিত। এমন সময় খুবই ভালো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে গ্রিজম্যান।’