গতকাল হাইকোর্টের আদেশের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেছিলেন, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, তা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শিগগিরই আবেদন করা হবে। কেননা, মহাসচিবের ড্রয়ারে দুই লাখ টাকা ও তাঁর কার্যালয়ে ককটেল পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে এসেছে, তাঁরা পরিকল্পনাকারী ও উসকানিদাতা, যা আসামি চালানপত্রে (ফরোয়ার্ডিং লেটারে) উল্লেখ করা হয়েছে।
একই মামলায় আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনবার নাকচ হয়। সবশেষ ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতেও তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। এ অবস্থায় সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাঁদের জামিন চেয়ে আবেদনটি করা হয়।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বাসায় ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে।
৯ ডিসেম্বর দুপুরে ডিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, পুলিশের ওপর বর্বরোচিত হামলা, উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তার পর থেকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস কারাগারে ছিলেন।
৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, শাহজাহানপুর থানায় একটি করে ও রমনা থানায় দুটি মামলা হয়।