‘৩১ জন ইসরায়েলি পণবন্দির মৃত্যু’

0
130
৩১ জন পণবন্দির মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ইসরায়েলের প্রশাসন

৩১ জন পণবন্দির মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ইসরায়েলের প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বিষয়টি ওই পণবন্দিদের পরিবারকে জানিয়েছে। বাকি পণবন্দিদের কথা এখনো জানা যায়নি। যদিও এবিষয়ে হামাস কোনো তথ্য দেয়নি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে এসে বহু মানুষকে পণবন্দি করেছিল হামাস। তার মধ্যে বেশ কিছু ব্যক্তিকে ছাড়লেও এখনো শতাধিক ব্যক্তি হামাসের হাতে বন্দি। কীভাবে তাদের মুক্ত করা যায়, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলছে। তারই মধ্যে ইসরায়েল জানিয়ে দিল যে, ৩১ জন পণবন্দির মৃত্যু হয়েছে। ওই বন্দিদের পরিবারকে এ খবর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের বক্তব্য, ১৩৬ জন পণবন্দি এখনো গাজায় আটক। এর মধ্যে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ইসরায়েল জানিয়েছিল, ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তাদের ধারণা। যদিও এবিষয়ে হামাস কোনো তথ্য দেয়নি।

ধারণা করা হয়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস যে হামলা চালায় তাতে এক হাজার ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। হামাস ২৫৩ জনকে বন্দি করে নিয়ে গেছিল। এর মধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সেখানে তিনি বলেছেন, সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে প্রস্তাব হামাসের কাছে পাঠানো হয়েছিল। হামাসের কিছু প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

তার বক্তব্য, আরো অনেক আলোচনার প্রয়োজন আছে। অনেক জট খুলতে হবে। কিন্তু তার বিশ্বাস সংঘর্ষ-বিরতি সম্ভব। এবং তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ফলে সমস্ত পক্ষ রাজি হবে এমন একটি সমাধান সূত্রে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। শুধু তা-ই নয়, ব্লিংকেনের বক্তব্য, আগামী বুধবার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বৈঠক শুরু করবেন তিনি। এই নিয়ে পঞ্চমবার মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছেন ব্লিংকেন।

মঙ্গলবার হামাস জানিয়েছে, কাতারের কাছে তারা সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাব পাঠিয়ে দিয়েছে। তবে তাদের প্রতিক্রিয়ার কোনো তথ্যই এখনো পর্যন্ত সামনে আসেনি। কাতার এবং আমেরিকা বিষয়টি এখনো পর্যন্ত গোপন রেখেছে। বুধবারই হামাসের বক্তব্য নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা কাতার এবং আমেরিকার।

তবে সংবাদমাধ্যমকে এর আগে হামাসের সূত্র জানিয়েছিল, তাদের দাবি খুব স্পষ্ট। স্থায়ীভাবে ইসরায়েলকে অভিযান বন্ধ করতে হবে। গাজা থেকে ইসরায়েলকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে। এবং বন্দি প্রত্যর্পণের সময় ইসরায়েলের জেলে বন্দি সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.