হোলি আর্টিজানে হামলা: হাইকোর্টে আপিলের রায় আজ

0
142
২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা চালানো হয়

সাড়ে সাত বছর আগে রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় আপিলের (আপিল ও ডেথ রেফারেন্স) রায় আজ সোমবার ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১১ অক্টোবর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল এহসান জোবায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সব আসামির মৃত্যুদণ্ড যেন বহাল থাকে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।

২০১৯ সালে ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জঙ্গিরা।

কারাগারে থাকা ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন-জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‍্যাশ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আব্দুস সবুর খান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন।

মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়ে বিচারক তার রায়ে বলেছিলেন, হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মধ্য দিয়ে আসামিরা ‘জঙ্গিবাদের উন্মত্ততা, নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার জঘন্য বহিঃপ্রকাশ’ ঘটিয়েছে। সাজার ক্ষেত্রে তারা কোনো অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারে না।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটেছিল ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হোলি আর্টিজান হোটেলে। এ হত্যাকাণ্ডটি আমাদের দেশ তো অবশ্যই, সারাবিশ্বেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

ওই হামলায় দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিক, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জন নিহত হন। গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার পর ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। এই হামলা মামলায় ১১৩ জন সাক্ষী হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাজধানীর গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের শেষ মাথায় লেকের তীরে হোলি আর্টিজান বেকারির সবুজ লন ছিল বিদেশিদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বিদেশিদের নিয়মিত আনাগোনা এবং শিথিল নিরাপত্তার কারণেই ওই রেস্তোরাঁকে জঙ্গিরা হামলার জন্য বেছে নিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যু দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য মামলার ডেথ রেফারেন্স ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে আসে। এরপর এক হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার এই পেপারবুক শুনানির জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়। চলতি বছর মে মাসে আপিল আবেদনের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ১১ অক্টোবর শেষ হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.