ওই সড়ক উন্মুক্ত করে সংস্কারের চেষ্টার সময় ডাবলু প্রামাণিক নামের এক ইউপি সদস্যকে মারধর করা হয়েছে। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চিকাশি ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের আবদুল বাছেদ নামের এক ব্যক্তি গ্রামীণ সড়কে বাঁশের বেড়া দিয়ে চার গ্রামের মানুষের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। ওই সড়ক উন্মুক্ত করে সংস্কারের চেষ্টার সময় আবদুল বাছেদ ও তাঁর লোকজন ডাবলু প্রামাণিক নামের এক ইউপি সদস্যকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য ডাবলু প্রামাণিক বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় আবদুল বাছেদ ও তাঁর ছেলে ফারাইজুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানা লিখিত অভিযোগ করেছেন। ডাবলু প্রামাণিক চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
উপজেলার মোহনপুর বাজার থেকে উত্তর দিকে ইছামতী নদীর তীর দিয়ে চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সরকারি গ্রামীণ কাঁচা সড়ক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মোহনপুর, সুলতানহাটা, চিকাশি, সোনারগাঁ নামের চার গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, স্কুল ও কলেজে যাতায়াত করতেন। এ অবস্থায় মোহনপুর গ্রামে পুরোনো খেয়াঘাট এলাকায় আবদুল বাছেদ প্রামাণিক নামের এক ব্যক্তি ওই সড়কের দুই পাশেই ঘর তুলে ও বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে এলাকা মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে কয়েক দিন ধরে ইছামতী নদীতে পুনর্খননের কাজ চলছে। নদীখননের মাটি ও বালু মোহনপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ডাবলু প্রামাণিক ব্যক্তিগত অর্থায়নে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সড়কের সংস্কারে কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে আবদুল বাছেদ ও তাঁর ছেলে ফারাইজুলসহ পরিবারের লোকজন ইউপি সদস্য ডাবলু প্রামাণিকের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেন। এ ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডাবলু প্রামাণিক বাদী হয়ে আবদুল বাছেদ ও তাঁর ছেলে ফারাইজুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মোহনপুর গ্রামের গোলাম সরোয়ার, এবাজ উদ্দিনসহ ১০-১২ জন প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোহনপুর গ্রাম থেকে চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সড়কটি অনেক পুরোনো। কিন্তু নদীতীরে হওয়ায় ও সড়কটি পাকাকরণের কোনো কাজ হয়নি। অন্য আর কোনো রাস্তা না থাকায় চার গ্রামের মানুষ এই কাঁচা মাটির রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। এ সুযোগে আবদুল বাছেদ ওই জায়গা তাঁর দাবি করে সড়কের ওপর ঘর ও বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। এতে করে মানুষের চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ফারাইজুল বলেন, ‘সড়কের জায়গা আমাদের। তাই আমরা বেড়া দিয়েছি। সরকারি সড়কে বেড়া দেওয়া হয়নি। এক্সকাভেটর দিয়ে বালু পরিবহনে বাধা দেওয়ায় ইউপি সদস্যের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে মারধর করা হয়নি।’