গাম্বিয়া ও উজবেকিস্তানে সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ভারতের ওষুধনির্মাতা কোম্পানি মেরিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের দুই পরিচালককে খুঁজছে দেশটির পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার কোম্পানিটির তিনজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি সরকারি পরীক্ষাগারে পরীক্ষার পর মেরিয়নের সিরাপের ৩৬টি নমুনার মধ্যে ‘ভেজাল’ পাওয়া যায় ২২টিতে। খবর- রয়টার্স।
শনিবার একজন ওষুধ পরিদর্শক বলেছেন, পরীক্ষায় দেখা গেছে মেরিয়নের অনেক ওষুধের নমুনায় টক্সিন রয়েছে। কোম্পানিটির রপ্তানি করা কাশির সিরাপ সম্পর্কে ভারত সতর্কতা জারি করতে পারে।
মেরিয়ন তদন্তের সঙ্গে জড়িত বৈভব বাব্বর নামক পরিদর্শক রয়টার্সকে বলেন, নমুনাগুলোতে ইথিলিন গ্লাইকোল ও ডাইথাইলিন গ্লাইকোলের সঙ্গে ভেজাল ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিষাক্ত পদার্থ দুটি দুটি সংস্থার বিক্রি করা ওষুধে পাওয়া গেছে।
জানুয়ারিতে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, গত বছর গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও উজবেকিস্তানে তিন শতাধিক শিশু দূষিত ওষুধের কারণে কিডনির সমস্যায় মারা গেছে। এমন মৃত্যু রোধে ১৯৪টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ‘অবিলম্বে সমন্বিত পদক্ষেপ’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।