সাভারে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আটক, অবরুদ্ধ ও মাইক্রোবাসের চাবি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ

0
221
সাভারে আমিন বাজার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ

ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার সময় সাভারে বিএনপি নেতাদের আটক, বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং বেশ কয়েকটি মাইক্রোবাসের চাবি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাভারের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ এভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যেতে বাধা দিচ্ছে বলে দলটি অভিযোগ করেছে।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. খোরশেদ আলমকে সাভারের ছায়াবীথি এলাকায় নিজ বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছে সাভার মডেল থানা-পুলিশ। নেতা-কর্মীদের নিয়ে সমাবেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে খোরশেদের আনা অর্ধশতাধিক মাইক্রোবাসের মধ্যে বেশ কয়েকটির চাবি নিয়ে গেছে পুলিশ।

নেতা-কর্মীরা আরও জানান, সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে নেতাদের বাসভবনসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হন। তাঁদের অনেককেই আমিনবাজার এলাকায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেন। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া বিরুলিয়া সেতু থেকে সমাবেশে যাওয়ার সময় সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাকে সাভার মডেল থানার পুলিশ আটক করেছে।

মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘সাভারের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ৭০টি হাইয়েস গাড়ি (মাইক্রোবাস) ভাড়া করা হয়। সকাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর সোসাইটির ফটকে নেতা-কর্মী ও গাড়িগুলো জড়ো হতে থাকে। সকাল ১০টার দিকে সাভার মডেল থানার পুলিশ গাড়িগুলো আটকে ১৪টি গাড়ির চাবি নিয়ে গেছে। তারা আমাকেও বাসায় অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এ ছাড়া আমিনবাজারে তল্লাশির সময় আমাদের ১৫-২০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।’

সাভার থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘তিনটি গাড়িতে করে আমরা সমাবেশে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিরুলিয়া দিয়ে যাচ্ছিলাম। বিরুলিয়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে সবার সামনের গাড়িটি পুলিশ থামায়। ওই গাড়িতে থাকা সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।’

জানতে চাইলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে আমরা কাউকে আটক করিনি ও কারও গাড়ি আটকাচ্ছি না।’ বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমকে অবরুদ্ধ করে রাখা, মাইক্রোবাসের চাবি নিয়ে যাওয়া এবং সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজনকে আটকের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি আবারও বলেন, ‘আমরা কাউকে আটক করিনি। কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগটিও সত্য নয়।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.