স্ত্রীর গোপন ভিডিও বানিয়েছেন গায়ক আদনান সামি—ফেসবুকে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তাঁর ছোট ভাই জুনায়েদ সামি। বেশ কয় দিন ধরে জুনায়েদের এমন একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অবশ্য বেশ আগেই আদনান সতর্ক করেছেন, ভাই তাঁর সম্পর্কে বিভিন্ন সময় মিথ্যা কথা বলেন। দুই ভাইয়ের সম্পর্ক খারাপ। তবে এবারের অভিযোগ নিয়ে এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি আদনান সামি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্র জানায়, ফেসবুক স্ট্যাটাসে ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জুনায়েদ সামি লিখেছেন, ‘ঘটনাটা ২০০৭ অথবা ২০০৮ সালের। সেই সময় আদনান সামি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সাবাহ গালাদাররির গোপন ভিডিওর ডিভিডি আদালতে উপস্থাপন করেন। আদনান সামি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন এই ভিডিও তিনি নিজে বানাননি। এটা বানিয়েছেন সাবাহর প্রেমিক।’ আদনান সামি সেই ভিডিও আদালতে পেশ করার পরে সাবাহ জানতে পারেন এটা গোপন ভিডিও। তখন তিনি জ্ঞান হারান। জুনায়েদের দাবি, তিনি নিজেও সেদিন আদালতে ছিলেন।
জুনায়েদ আরও লিখেছেন, শুধু স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগই নয়; নিজের পড়াশোনা ও জন্মস্থান নিয়েও আদনান সামি মিথ্যাচার করেছেন।
আদনান ইংল্যান্ডে পড়াশোনার সময় ‘ও’ লেভেলের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। সেখানে অকৃতকার্য হয়ে লাহোর থেকে ‘ও’ লেভেল পাস করার ভুয়া ডিগ্রি নেন। এমনকি সামি কানাডার জেলেও ছিলেন দুই সপ্তাহ। স্ট্যাটাসে পাকিস্তানের চেয়ে সামির ভারতপ্রীতির কারণ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘সামি ভারত থেকে যে সুবিধা পান, তা পাকিস্তান থেকে পান না।’
জুনায়েদ পাকিস্তানের গায়ক। তিনি স্ট্যাটাসের সঙ্গে যোগ করেন, ‘সংগীত অঙ্গনে আদনান সামি আমাকে কোনো সহযোগিতাই করেনি। এমনকি কখনোই ভারতে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়নি।
যদিও আমি অনেকের কাছ থেকে শুনেছি, আদনান সামির চেয়ে ভালোই গান করি; তারপরও সামি আসলে সন্দেহজনক চরিত্রের মানুষ। আমাকে সে ভয় পায়। মনে করে, আমি তাকে ছাড়িয়ে যাব। এখন আমি বাসায় বেকার বসে আছি, এটা তার কারণেই।’
২০০১ সালে আদনান সামি বিয়ে করেন সাবাহ গালদারিকে। তিন বছর তাঁদের বিয়ে টিকে ছিল। দ্বিতীয় বিবাহবিচ্ছেদের পর এই গায়ক রয়া ফারাবিকে বিয়ে করেন। এই সংসারে তাঁদের এক সন্তান রয়েছে। আদনান সামির প্রথম স্ত্রী জেবা বকতিয়ার। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তাঁদের সংসার স্থায়ী হয়েছিল।