সরকারিভাবে আমদানি করা সার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানকে (পোটন) কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আজ সোমবার সচিবালয়ের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী। আজ সচিবালয়ের কৃষি মন্ত্রণালয়ে সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক সভা হয়। সভায় আসন্ন অর্থবছরে (২০২৩-২৪) সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়। পরে সাংবাদিকদের কাছে তা তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী। তখন তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কোনো দরপত্রে কামরুল আশরাফ খান অংশ নিতে পারবেন না বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাঁকে আমরা কালো তালিকাভুক্ত করেছি। তিনি আমাদের এখানে কোনো দরপত্রে অংশ নিতে পারবেন না এবং অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু উনি (কামরুল) উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি, সেটি সঠিক হয়নি। বাংলাদেশে এই আরেক সমস্যা। তবে আমরা খুবই সচেতন আছি। আমাদের চোখকান খোলা আছে। তিনি অনেক ক্ষতি করেছেন। কোনোভাবেই এটি সহজভাবে নিচ্ছি না। এটুকু আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’
সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা।
পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে, তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে। মেসার্স পোটন ট্রেডার্স কামরুল আশরাফ খানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। তিনি সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আসন্ন অর্থবছরে (২০২৩-২৪) সারের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। সারের দাম বাড়ানো হবে না। খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সার নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারের যে চাহিদা ঠিক করা হয়েছে, তার মধ্যে ইউরিয়া ২৭ লাখ টন, ডিএপি ১৬ লাখ টন, টিএসপি সাড়ে ৭ লাখ টন ও এমওপি ৯ লাখ টন রয়েছে।