হাতে লাল সবুজের পতাকা, মুখে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’। হ্যাংঝুর জিয়েজাং ইউনিভাসিটি অব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ এমন দৃশ্য দেখা গেছে। চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা সাত শিক্ষার্থী বুধবার এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে সাইফ হাসানদের উৎসাহ দিতে গ্যারারিতে এসেছেন।
কোয়ার্টার ফাইনালে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করা আফিফ হোসেন-শাহাদাত হোসেনরা যখন চার-ছয় হাকাচ্ছেন, তখন এক পাশে দাঁড়ানো সাখাওয়াত মিদু, সেয়দ মহিদুর রহমান, মাহদি আব্দুল্লাহ, ইফতেখার হোসেন, সোলেমান মোল্লা লিমন, ফারজান আহমেদ, খালিদ সাইফুল্লাহ সাদের মতো ক্রিকেট পাগল বাংলাদেশি।
চীনের পর্যটন নগরী হ্যাঙঝুর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ জনের মতো বাংলাদেশি পড়াশুনা করেন। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এশিয়ান গেমস ক্রিকেট হচ্ছে, সেই জিয়েজাংয়েই পড়াশুনা করছেন ১৪ জনের মতো শিক্ষার্থী।
এশিয়াডে এই মাঠে নারী ক্রিকেটে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। টিকিট না পাওয়ায় মেয়েদেরকে সমর্থন জানাতে আসতে পারেননি বলে জানান মহিদুর রহমান, ‘আমরা ক্রিকেটকে ভালোবাসি। তার চেয়ে বড় কথা দেশের টানে আমরা এখানে এসেছি।’
জিয়েজাং ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে পড়াশুনা করছেন ফারজান এবং সাদ। কিন্তু টিকিটের কারণে এ দু’জন স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখতে পারেননি। বুধবার সকাল থেকে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর যখন টিকিট হাতে পেয়েছেন, তখন যেন সোনার হরিন পেয়েছেন সাদ। অথচ চীনে ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আগ্রহ খুব একটা নেই। কিন্তু মাঠের এক পাশে গ্যারারি হওয়ায় আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় আর গেমসের নিয়মের কারণে টিকিট পেতে একটু সমস্যা হচ্ছে। এতকিছুর পরেও গ্যালারিতে এসে খেলা দেখতে পারার উচ্ছাস ফারজান-মাহদিদের।