কিছু ম্যাচের হাইপ অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও বেড়ে যায়। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা লড়াই ওই পর্যায়ে পৌঁছেছে। নিদাহাস ট্রফির নাগিন ড্যান্সে যার শুরু। পরের বেশ কিছু ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, স্লেজিং, বিতর্কের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েও বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ উত্তাপ ছড়িয়েছে।
অ্যাঞ্জেল ম্যাথুসের টাইমড আউটে যার শুরু। সাকিবকে আউট করে ম্যাথুসের ঘড়ি দেখানোর ইশারা করে টাইমড আউট উদযাপন। এরপর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে লঙ্কানদের কথা কাটাকাটি। এসবের মধ্যেই লঙ্কানদের ২৮০ রানের লক্ষ্যটা সহজ বানিয়েও শেষ দিকে উইকেট বিলিয়ে ৩ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং নেন সাকিব। শরিফুলের প্রথম ওভারে মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচে শুরু হয় ম্যাচ। এরপর ম্যাথুসের টাইমড আউট, মুশফিকের স্টাম্প তুলে স্টাম্পিং করা ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন পাঁচে নামা লঙ্কান ব্যাটার চারিথা আশালঙ্কা। তার ব্যাটে ভর করে তিন বল থাকতে অলআউট হওয়ার আগে লড়াই করার পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।
দলটির হয়ে আশালঙ্কা খেলেন ১০৫ বলে ১০৮ রানের ইনিংস। পাঁচটি ছক্কা ও ছয়টি চার মারেন তিনি। এছাড়া পাথুন নিশাঙ্কা ও সাদেরা সামারাবিক্রমা ৪১ করে রান করেন। শেষ দিকে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৩৪ ও মহেশ থিকসানা ২২ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন।
জবাব দিতে নেমে ৪১ রানে দুই ওপেনার তানজিদ তামিম (৯) ও লিটন দাসকে (২৩) হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে তিনে নামা নাজমুল শান্ত ও সাকিব আল হাসান ১৬৯ রানের জুটি গড়েন। দু’জনই সেঞ্চুরির পথে পা বাড়িয়েও আউট হন। সাকিব ফিরে যান ৬৫ বলে ১২টি চার ও দুই ছক্কায় ৮২ রানের ইনিংস খেলে। দলের রান তখন ২১০। এর সঙ্গে মাত্র ১ রান যোগ করে শান্ত আউট হন ১০১ বলে ১২টি চারের শটে ৯০ রান করে।
পরের ৭০ রানে যেতে আরও ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ১০ রান করে আউট হন। দল তখন ২৪৯ রানে। পরেই বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। তিনি খেলেন ২৩ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২২ রান করে। এরপর মিরাজ (৩) ফিরলে চাপ বাড়ে দলের ওপর। তাওহীদ হৃদয় ১৫ রান ও তানজিম সাকিব ৫ রান করে দলকে ৮.৫ ওভার থাকতে জয় এনে দেন। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে সাতে উঠেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার স্বপ্নে লাগবে ধাক্কা।