মামলায় ওই নারী উল্লেখ করেন, সম্প্রতি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। পরে তিনি গ্রামের বাড়ি যশোরে চলে যান। তাঁর সাবেক স্বামী সন্তানদের নিয়ে রাজধানীতে থাকতেন। তিনি (নারী) গত ২৫ জানুয়ারি সন্তানদের দেখতে ঢাকায় আসেন। কিন্তু এসে দেখেন, তাঁর সাবেক স্বামী বাসা ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁদের না পেয়ে রাত নয়টার দিকে তিনি গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাওয়ার জন্য একটি অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশাচালকের সঙ্গে কথায় কথায় তিনি সন্তানের কথা বলেন। অটোরিকশাচালক তাঁকে সন্তানদের খুঁজতে সহায়তা করবেন আশ্বাস দিয়ে কয়েক ঘণ্টা বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যান।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, অটোরিকশাচালক তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকেন এবং মুঠোফোনে কথা বলতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর ওই অটোরিকশায় জোর করে দুজন উঠে যান। তাঁদের রিকশা থেকে নেমে যেতে বলা হলেও তাঁরা নামেননি। একপর্যায়ে অটোরিকশা নির্জন স্থানে গিয়ে থামে। তখন প্রায় মধ্যরাত।
সেখানে দুজন আগে থেকেই অবস্থান করছিল। পরে একটি অস্থায়ী টিনের ঘরে নিয়ে অটোরিকশাচালকসহ চারজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। অন্য একজন পাহারায় ছিলেন। ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোক জড়ো হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পালিয়ে যান।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মৃত্যুঞ্জয় দে সজল বলেন, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। এখন তাঁকে পরিবারের জিম্মায় ছাড়া হয়েছে।