প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও আহত আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উজিরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম তালুকদার। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন হাফিজুর রহমান ও ইদ্রিস সরদার। এ সময় হাফিজুর রহমান সংসদ সদস্যের সামনে ইদ্রিস সরদারকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করলে ইদ্রিস এর প্রতিবাদ করেন। এরপর হাফিজুর তাঁকে সংসদ সদস্যের সামনেই মারধর শুরু করেন।
উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইদ্রিস সরদার অভিযোগ করেন, ‘সংসদ সদস্যর সামনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান আমাকে নিয়ে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করেন। আমি তাঁর কথার প্রতিবাদ করলে হাফিজুর রহমান আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডার কাজী রিয়াজ (২৭), পলাশ তালুকদার (৩০), রুবেল হোসেন (২৫), ইদ্রিসসহ ৭ থেকে ৮ জন সন্ত্রাসী আমাকে লাঠিপেটা করে রক্তাক্ত জখম করেছেন। স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।’
তবে মারধরের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ সঠিক নয়। তবে শুনেছি ইদ্রিসের সঙ্গে কর্মীদের গন্ডগোল হয়েছে।’
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।