কলমাকান্দা উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। রোববার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে শ্রেণিকক্ষে থাকা শিশুটির সহপাঠীকে বিদ্যালয়ের ছাদে শুঁটকি মাছ নিয়ে আসতে পাঠান অভিযুক্ত শিক্ষক। এর কিছুক্ষণ পর শ্রেণিকক্ষে গিয়ে ওই শিক্ষক ভুক্তভোগী শিশুটিকে ছাদের ওপর থেকে তার সহপাঠীকে দ্রুত ডেকে আনতে বলেন। এ সময় শিক্ষকের কথা অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয় ওই ছাত্রী। শিক্ষক তার পিছু পিছু ছোটেন। পরে বিদ্যালয়ের সিঁড়ির সামনে পৌঁছামাত্রই শিশুটিকে জড়িয়ে ধরে যৌন হয়রানি করেন ওই শিক্ষক। এ সময় ছাত্রীর চিৎকারে বিদ্যালয়ের ছাদের ওপর থেকে তার সহপাঠীসহ অনেককে আসতে দেখে দ্রুত সটকে পড়েন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরে সহপাঠীকে নিয়ে ওই শিশু বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনা খুলে বলে।
বাদী বলেন, ‘আমার মেয়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার আগে গত ৫ অক্টোবর বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
মঙ্গলবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তখন তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে গত সোমবার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সরোয়ার জাহানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তাঁর দাবি, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গ্রামের একটি মহল তাঁকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।