হোয়াইট হাউসে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন বাইডেন। ইউএস এম ১ আব্রামস ট্যাঙ্কের প্রথম চালান আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুদ্ধের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো বিপুল সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে ইউক্রেনকে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এমন সিদ্ধান্তকে ভালো চোখে দেখছেন না। রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা নতুন প্যাকেজ আটকে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। যদিও এসবে পাত্তা দিচ্ছেন না বাইডেন। আরও ৩২৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা অনুমোদন করেছেন। ইউক্রেনের জন্য নতুন সহায়তা সমর্থন করার অন্য কোনো বিকল্প নেই বলেন তিনি। নতুন সহায়তার মধ্যে রয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট লঞ্চারের গোলাবারুদ, ট্যাঙ্কবিরোধী অস্ত্র, আর্টিলারি রাউন্ড ও ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস ক্যাবিনেটের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওয়াশিংটনে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানান।
এদিকে সামরিক সহায়তা পেতে এবার কানাডা সফরে গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ধারণা করা হচ্ছে, জাস্টিন ট্রুডো সরকারের কাছ থেকে বড় ধরনের সহায়তার ঘোষণা আসতে পারে এ সফরে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আব্রামস ট্যাঙ্ক পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলেনস্কি।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে কিয়েভের কট্টর সমর্থক কানাডা। দেশটিতে ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত ১৪ লাখ মানুষ বাস করে, যা ইউক্রেন ও রাশিয়ার পর তৃতীয় সর্বাধিক। ট্রুডো বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, কানাডা যতদিন লাগবে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখবে। আমরা আইনের শাসন ও আন্তর্জাতিক নিয়মভিত্তিক আদেশ রক্ষার জন্য সবসময় দৃঢ় থাকব। সফরে অটোয়ায় পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন জেলেনস্কি। তারপর ট্রুডোর সঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি।
অন্যদিকে শুক্রবার বিকেলে ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেন। এতে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবাহিনীর সদরদপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া কৃষ্ণ সাগরে নৌবাহিনীর সদরদপ্তরে এক রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ হামলার খবর জানিয়েছে। হামলার পরপরই দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রাশিয়ার গভর্নর জানান, এ ধরনের হামলা প্রত্যাশিত নয়। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা ছিল। কিন্তু রুশ বিমানের পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়া হয়। ইউক্রেনের ক্রিমিয়ার যে অংশ রাশিয়া দখল করেছে, সেখানকার অন্যতম শহর সেভাস্তোপোল। এবার সেই সেভাস্তোপোলেই হামলা চালানো হয়। খবর আলজাজিরা ও সিএনএনের।