শিক্ষাছুটি শেষে যথাসময়ে যোগ না দেওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের মেয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক সানজানা সোবহানকে শোকজ করা হয়েছে। ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে তাকে শোকজ করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘আপনি কেন শিক্ষাছুটি বাতিলের আদেশ জারি এবং প্রাপ্তির পরেও দেশে না ফিরে অননুমোদিতভাবে কোন অধিকার বলে বিদেশে অবস্থান করছেন তার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। এছাড়া যথাসময়ে বিভাগে যোগদান না করে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণও জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। এতে বলা হয়, এই পত্রের উত্তর প্রাপ্তির পরে আপনার বিভাগে যোগদান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে সানজানা সোবহান বলেন, সব নিয়ম মেনেই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ গিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পূর্ণ বেতনে আমার শিক্ষাছুটিও মঞ্জুর করেছে। আমার ডিগ্রি শেষ হতে যখন সাত মাস বাকি, তখন হঠাৎ করেই জানানো হয়, ছুটিটি মঞ্জুর হয়নি। অতিসত্বর আমি যেন বিভাগে যোগদান করি। স্কলারশিপের শর্ত অনুযায়ী, মাঝপথে ডিগ্রিটি ছেড়ে দিলে আমি প্রায় ৪২ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতাম। তাই পুনরায় ছুটির আবেদন করি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাত মাস পর জানায়, আমার পুনরায় করা ছুটির আবেদনটি আমলে নেওয়া হয়নি। আমি গত ২৪ মে বিভাগে যোগদানও করেছি।
থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য স্কলারশিপ পান সানজানা সোবহান। ২০২২ সালের ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে দেড় বছরের শিক্ষাছুটি দেওয়া হয়। একই বছরের ৮ মে, ছুটি চলাকালীন তার বেতন চালু রাখার বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে বলে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান উপাচার্য থাকাকালীন সানজানা সোবহান এবং জামাতা এটিএম শাহেদ পারভেজের নিয়োগ নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। তার বাবা সাবেক উপাচার্য ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে মেয়ে ও জামাতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।