ঢাকায় একই দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ। সমাবেশ ঘিরে রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহন চলাচল কমেছে। যাত্রীদের সংখ্যাও অন্যদিনের থেকে কম। তবে জরুরি প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছেন তারা বাস-সিএনজি না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে জানা গেছে। এ দিন সকাল থেকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক বন্ধ থাকায় অনেককে ভোগান্তিতেও পড়তে হয়েছে। প্রেসক্লাবেও একই অবস্থা।
বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর কাজীপাড়া, আঁগারগাও, শ্যামলি, বিজয় স্মরণী, ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, মহাখালী সড়ক ঘুরেও একই চিত্র দেখা গেছে। অধিকাংশ সড়কে বাস কম। কোনো কোনো সড়কে বাস চললেও যাত্রী নেই।
কাজিপাড়া বাসস্টান্ডে ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা সালেহা বেগম (৫০) জানান, অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল যাবেন। তবে বাসের জন্য অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে বলে ভাবছেন ফিরে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আজ শুনেছি কীসের সমাবেশ তাই বাস নেই। সিএনজি কইরা যামু, টাকা নেই অতো…।’
ফার্মগেট মোড়ে অন্য দিনের তুলনায় যানবাহন চলাচল কম। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে, সেখানে কথা হয় রায়হান হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জরুরি কাজে মতিঝিল যাবো। কিন্তু গুগল ম্যাপে দেখছি প্রেসক্লাবের দিকে খুব যানজট।’
এদিকে ফকিরাপুল থেকে মতঝিলের রাস্তায় দুপুরে ছিল তীব্র যানজট। শাপলা চত্বর থেকে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন। কেউ কেউ এসব রুটে না গিয়ে বিকল্প রাস্তা খুঁজছেন।
পল্টন মোড়ে কথা হয় গাজিপুর পরিবহনের হেলপার সুজনের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘সকালের দিকে যাত্রী ছিলো আগের মতোই। কিন্তু দুপুরে একদমই কম।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। এ সমাবেশ থেকে সরকার পতনের ‘এক দফা’ ঘোষণা করবে দলটি। অন্যদিকে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে সময় আলাদা। ২৩ শর্তে রাজধানীতে সমাবেশ করতে উভয় দলকেই অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।