আমদানির পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কাঁচামরিচের বাজার। ভারত থেকে কাঁচামরিচ আসার পরদিন দাম কমে অর্ধেকে নেমেছিল। কিন্তু এ দর স্থায়ী হয়নি। পরদিনই আবার কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার দাম বেড়ে ৪০০ টাকায় ঠেকেছে।
পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, অতি বৃষ্টি ও খরার কারণে এবার দেশে কাঁচামরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। অন্যদিকে, ভারত থেকেও পর্যাপ্ত আমদানি হচ্ছে না। আমদানি করা কাঁচামরিচের দর পড়ছে ২০০ টাকার বেশি।
এ ছাড়া পচনশীল পণ্য হওয়ার কারণে পথিমধ্যে কিছু নষ্ট হয়ে যায়। এর পাশাপাশি পরিবহনসহ রাস্তায় নানা খরচ আছে। এসব কারণে কাঁচামরিচের দাম বাড়ছে।
গত সোমবার ঢাকার বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। এক দিন পরই বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকা। আজ তা বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা দরে। তবে মগবাজার, মালিবাগসহ অন্যান্য বাজারে বিক্রি হয়েছে আরও বেশি দরে।
অন্যদিকে, ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে আরও বেশি দামে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। সমকালের জেলা প্রতিনিধিরা জানান, কোথাও কোথাও ফের ৬০০ টাকায় উঠেছে কাঁচামিরেচর দাম।
পাইকারি বাজার থেকে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৩৭০ টাকা দরে কেনার ভাউচার দেখিয়ে কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. সোহেল বলেন, ‘দোকানে আনার পর এবং পরিমাপ করার সময় কিছু ঘাটতি হয়। তাহলে আমরা ৪০০ টাকার কমে কীভাবে বিক্রি করি।’
বাজারে হুহু করে দাম বাড়তে থাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও সারাদেশে অভিযানে নেমেছে। বেশি দাম নেওয়ায় জরিমানা করেছে কাঁচামরিচের ব্যবসায়ীদের। এর পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি দাম।
আজও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অভিযানে কাঁচামরিচের দাম বেশি রাখায় ৯৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।