আজ শুক্রবার ছুটির দিনের সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশে মেঘ ছিল। তবে এ মেঘ ভেঙে সূর্যের মুখও দেখা গেছে সকাল নয়টার দিকে। গতকালও মেঘ ছিল নগরের আকাশজুড়ে। বৃষ্টিও হয়েছিল, তবে পরিমাণে কম। তাতে অবশ্য টানা কয়েক দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমেছিল। আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে একপশলা বৃষ্টি হয়। বিদ্যুৎ চমকায়, ডাকে মেঘ। এরপর খানিকটা বিরতি দিয়ে বেলা ১১টা নাগাদ শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। চলে বেশ খানিকক্ষণ।
বৃষ্টি হয়েছে নগরের বিভিন্ন এলাকায়। ফার্মগেট, তেজকুনিপাড়া, কারওয়ান বাজার, গুলশান, বাড্ডা, মগবাজার, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, শ্যামলী, আদাবরসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়। বেলা একটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আকাশ ছিল মেঘলা। বৃষ্টিও হচ্ছে ঝিরঝির করে।
আজ যে বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হতে পারে, তা গতকালই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছিল, গতকালই মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল নয়টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে বৃষ্টির মধ্যেও রাজশাহী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর এ তাপ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। তবে তাতে তাপমাত্রা একেবারে কমে যাবে না। আরও চার থেকে পাঁচ দিন থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালার বিস্তার ঘটছে। আর এর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। এ কারণে চার বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।