আমাদের দৈনন্দিন জীবনের রুটিন আক্ষরিক অর্থেই প্রায় ২৪ ঘণ্টা ঘড়ির কাঁটা ধরে ঘুরতে থাকে। তার মধ্যে প্রায় ১২ ঘণ্টা থাকে সূর্যের আলো আর বাকি কয়েক ঘণ্টা থাকে অন্ধকার। এই ভাবে দিন আর রাত আলাদা করা হয়। সেই অনুযায়ী আমাদের দিন আর রাতের রুটিনও পরিবর্তিত হতে থাকে। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে দিনের পরিমাণই হয় সবচেয়ে বেশি। এমন কিছু শহরও আছে টানা ৭০ দিন শুধু দিনই থাকে। রাত হয় না।
যারা ভ্রমণ পিপাসু তারা যেতে পারেন বিশ্বের এমন কয়েকটি স্থানে যেখানে কখনো সূর্য অস্ত যায় না।
নরওয়ে : আর্কটিক সার্কেলে অবস্থিত নরওয়েকে নিশীথ সূর্যের দেশ বলা হয়। এই দেশে মে থেকে জুলাইয়ের শেষের দিকে সূর্য কখনো অস্ত যায় না। এর অর্থ হলো প্রায় ৭৬ দিনের জন্য, দেশটিতে সূর্য কখনও অস্ত যায় না। নরওয়ের স্যালবার্ডে, ১০ এপ্রিল থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত একটানা সূর্য জ্বলজ্বল করে; এটি ইউরোপের সবচেয়ে উত্তরাঞ্চলীয় অধ্যুষিত অঞ্চলও। চাইলে এই সময়ে মধ্যে ওই জায়গায় ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন।
নুনাভুত, কানাডা : নুনাভুত কানাডার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে আর্কটিক সার্কেল থেকে প্রায় দুই ডিগ্রি উপরে অবস্থিত। এই জায়গায় প্রায় দুই মাস ২৪ ঘণ্টা সূর্যালোক থাকে। অন্যদিকে শীতকালে, জায়গাটি প্রায় ৩০ দিন অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।
আইসল্যান্ড : গ্রেট ব্রিটেনের পরে আইসল্যান্ড হল ইউরোপের বৃহত্তম দ্বীপ। মশাবিহীন স্থান হিসেবেও এই দেশটি পরিচিত। গ্রীষ্মকালে, আইসল্যান্ডে রাত পরিষ্কার থাকে। এখানে জুন মাসে, সূর্য কখনোই অস্ত যায় না।
ব্যারো, আলাস্কা: মে মাসের শেষ থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত এখানে সূর্য কখনোই অস্ত যায় না। অন্যদিকে নভেম্বরের শুরু থেকে পরবর্তী ৩০ দিনে এখানে সূর্য দেখা যায় না। এই জায়গাটি পোলার নাইটস নামেও পরিচিত। প্রচণ্ড শীতে এই অঞ্চলটি পুরোপুরি অন্ধকারে ঢাকা থাকে। তুষারে ঢাকা পাহাড় এবং মনমুগ্ধকর হিমবাহের জন্য বিখ্যাত আলাস্কার ব্যারো গ্রীষ্ম বা শীতকালে পরিদর্শন করার জন্য একেবারে আদর্শ।
ফিনল্যান্ড : হাজার হাজার হ্রদ এবং দ্বীপের দেশ, ফিনল্যান্ডের বেশিরভাগ অংশে টানা গ্রীষ্মকাল থাকে। এই সময়ে, সূর্য প্রায় ৭৩ দিন ধরে টানা জ্বলতে থাকে। আবার শীতের সময় এই অঞ্চলে সূর্যের আলো দেখা যায় না। এ কারণে এখানকার মানুষ গ্রীষ্মকালে কম ঘুমায় এবং শীতকালে বেশি ঘুমায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া