বাংলাদেশের পথের কাঁটা গিলকে ফেরালেন মাহেদী

0
111
মাহেদী

বাংলাদেশকে একাই ভোগাচ্ছিলেন ভারতের ওপেনার শুভমন গিল।  ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেন তিনি। অবশেষে ভারতের সেঞ্চুরিয়ানকে থামালেন মাহেদী হাসান। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩৩ বলে ১২১ রান করেন গিল।

৪৪.২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রানে ব্যাট করছে ভারত। ক্রিজে অক্ষরের সঙ্গী শার্দুল।

এর আগে ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় ভারত। ভারতের ওপেনার ও অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে পাঠান অভিষিক্ত তানজিম সাকিব। বলা যায়, অভিষেক ম্যাচেই স্বপ্নের শুরু তানজিমের। নিজের পরের ওভারে এসেও ফের উইকেট নেন তানজিম। এবার তার বলে বোকা বোল্ড হন তিলক ভার্মা। ৯ বল খেলে ১ চারে ৫ রান করেন তিনি।

পরপর দুই ওভারে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ভারতকে দারুণভাবে চেপে ধরেছিলেন অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব। সেখান থেকে শুভমান গিল ও লোকেশ রাহুলের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছিল ভারত। তবে দলীয় ৭৪ রানে লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভাঙলেন মাহেদী হাসান। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসেই উইকেট পেলেন মিরাজ। তার ‍ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউয়ের শিকার ইশান কিষাণ। ১৫ বলে ৫ রান করেন তিনি।

গিলের সঙ্গী হয়ে ভারতের রানের চাকা ঘুরাচ্ছিলেন সূর্যকুমার। জুটিতে ৪৫ রান উঠতেই সূর্যকে থামান সাকিব। তার ঘূর্ণিতে বোল্ড হন সূর্যকুমার। ৩৪ বলে ২৬ রান করে থামেন তিনি। এরপর জাদেজাকেও বেশিক্ষণ থাকতে দেয়নি বাংলাদেশ। মুস্তাফিজের বলে শট খেলতে গিয়ে হারিয়েছেন মিডল স্ট্যাম্প।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। ৫৯ রান হতেই আরও দুই উইকেট হারায় টাইগাররা। বরাবরের মত আজও ব্যর্থ টপঅর্ডার। শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ওপেনার লিটন দাস (০)। তানজিদ তামিম নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ১৩ রান। এরপর মাত্র ৪ রান করেই সাজঘরে ফিরেছেন দীর্ঘদিন পর ওয়ানডেতে ফেরা এনামুল। দলীয় ৫৯ রানে রোহিতের ক্যাচ বানিয়ে মিরাজকে ফেরান অক্ষর প্যাটেল। টাইগার এই অলরাউন্ডার ২৮ বলে করেন ১৩ রান।

শুরুর ধাক্কা সামলিয়ে এরপর দলের হাল ধরেন সাকিব-হৃদয়। দুজনে মিলে গড়েন শতরানের জুটি। সাকিব ৬৫ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু এবারও হলো না। শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে হৃদয়ের সঙ্গে ১০১ রানের জুটি গড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক ৮৫ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি। সাকিবের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শামীমও (১)।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হৃদয় খেলেছিলেন ৮২ রানের ইনিংস। আজ ভারতের বিপক্ষে আরও একবার জ্বলে উঠলো তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট। তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম আর টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। তবে ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তরুণ এই ব্যাটার। শামির বলে বিদায়ের আগে ৮১ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা।

সাকিব ও হৃদয় ফেরার পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন নাসুম-মাহেদী। ৪৫ বলে ৬ চার আর এক ছক্কায় নাসুমের ৪৪ আর শেখ মাহেদীর ২৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৯ রানে ভর করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিম সাকিবও ৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় করেন হার না মানা ১৪। ভারতের শার্দুল ঠাকুর ৬৫ রানে নেন ৩টি উইকেট। ৩২ রানে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.