ফেসবুকে বন্ধুত্বের নামে ফাঁদ, পরে ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রতারণা

0
293
জব্দ করা বেশ কিছু মুঠোফোনসহ গ্রেপ্তার চারজন, ছবি: সংগৃহীত

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সোহাগ আহমেদ, রিপন ইসলাম, সোহেল রানা ও লিটন আলী। গত সোমবার নাটোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় বেশ কিছু মুঠোফোন।

বুধবার ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা হয়। এটি তদন্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত ব্যক্তিদের অবস্থান শনাক্তের পর অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

যেভাবে প্রতারণা

চক্রটির অপরাধের কৌশল সম্পর্কে খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ‘প্রথমে তারা ফেসবুকে সুন্দরী নারীদের ছবি দিয়ে ভুয়া আইডি খুলে প্রবাসীদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। প্রবাসীরা রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে বা মেসেজের রিপ্লাই দিলে তারা সখ্য গড়ে তোলে। এরপর মেসেঞ্জারে প্রবাসীদের সঙ্গে নারীকণ্ঠে কথা বলে তারা অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় এক রকম আস্থা অর্জন করে। একপর্যায়ে ভিডিও কল দেওয়ার নাম করে প্রবাসীর ইমো নম্বর জেনে নেয়।’

ডিবির কর্মকর্তারা জানান, প্রতারকেরা ওই নম্বর দিয়ে নিজেদের ডিভাইসে একটি ইমো অ্যাকাউন্ট খোলার চেষ্টা চালায়। এ জন্য ভুক্তভোগীর ফোনে যাওয়া ওটিপি কৌশলে শুনে নেয়। এরপর তারা ইমো অ্যাকাউন্টটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পাসওয়ার্ড বদলে ফেলে। পরে প্রবাসীর ইমো অ্যাকাউন্টের নম্বরও বদলে ফেলে। অন্যদিকে ইমো অ্যাকাউন্টের হিস্ট্রি থেকে পরিবার ও স্বজনের নম্বর সংগ্রহ করে তারা। পরে জরুরি কাজের কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় শুরু করে। এভাবে তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এ ছাড়া প্রতারকেরা ভুয়া ফেসবুক ও মেসেঞ্জার আইডি ব্যবহার করে নারীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। এরপর তাঁদের প্রলুব্ধ করে ভিডিও কলে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তোলে ও ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতিয়ে নেয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.