ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০০ জন। তাদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর।
মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জেনিন ক্যাম্পের বাসিন্দা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। শিশুরা ভয়ে কাঁপছে ও কাঁদছে।
ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক মাহমুদ আল-সাদী সোমবার বলেছিলেন, জেনিনে বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। মনে হচ্ছে ভূপৃষ্ঠে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অনেক ঘরবাড়ি বোমা হামলার শিকার হয়েছে এবং পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের জেনিনের শরণার্থী শিবিরের পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে উঠেছে। হামলায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে শরণার্থী শিবিরের ভিতরে, যা শরণার্থীদের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
আল-কাইলা জানান, স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সত্যিই খুব সংকটজনক। হাসপাতালগুলোতে হামলায় আহতদের ভিড় ছিল এবং সহিংসতার কারণে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পৌঁছাতে লড়াই করছিল। তবে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই স্থানীয় হাসপাতালগুলোকে এ ধরনের হামলার জন্য প্রস্তুত করেছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসাসামগ্রী এবং ওষুধ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এগুলো তিন মাসের জন্য যথেষ্ট। গত সপ্তাহেই এটা করা হয়েছিল। কারণ, আমরা অনুমান করেছিলাম, ইসরায়েল জেনিনে আগ্রাসন চালাবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ড্রোন হামলার মধ্য দিয়ে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপকমাত্রায় অভিযান শুরু করে।
জেনিনে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তারা ‘জেনিন এলাকায় সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে’ হামলা চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনি ওই ক্যাম্পটিকে ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ দাবি করে তারা বলেছে, ‘সন্ত্রাসীরা আস্তানা হিসাবে জেনিন ক্যাম্প ব্যবহার করে বেসামরিক লোকদের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমরা নিষ্ক্রিয় থাকব না।’