ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রান্ত মিত্র (২৩) হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ফরিদ শাহ সড়ক, আলাউদ্দিন কমিউনিটি সেন্টারের মোড় হয়ে ব্রাহ্মসমাজ সড়ক ধরে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের মোড় হয়ে মুজিব সড়ক দিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক শ্বাসত চক্রবর্তী, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান, শেখ তামিম আদনান, মাহমুদুল হাসান, মো. শাহীনূর, সাজ্জাদ ও সরকারি ইয়াছিন কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিয়া ইসলাম।
বক্তারা বলেন, প্রান্ত বন্ধুর বোনের জন্য রক্ত দিতে এসে খুন হয়েছেন। রক্তদান পৃথিবীর সব ভালো কাজের মধ্যে একটি ভালো কাজ। এ ভালো কাজ করতে এসে তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
বন্ধুর বোনকে রক্ত দিতে গত সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে শহরের ওয়্যারলেস পাড়া এলাকার বাড়ি থেকে ফরিদপুর ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে যাচ্ছিলেন প্রান্ত মিত্র। পথে আলীপুর সেতুর উত্তর প্রান্তে বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাঁকে। প্রান্ত মিত্র শহরের ওয়্যারলেস পাড়ায় মা–বাবার সঙ্গে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তাঁর বাবা বিকাশ মিত্র শহরের হাউজিং আবাসিক এলাকায় ‘দীপ শিখা’ নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।
প্রান্ত হত্যার ঘটনায় বুধবার রাতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন তাঁর বাবা বিকাশ মিত্র। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল গফফার আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এজাহারে বলা হয়, অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা ২৪ জুলাই রাত দুইটা থেকে পরদিন আনুমানিক সকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যবর্তী সময়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত করে প্রান্তকে হত্যা এবং তাঁর মুঠোফোন ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।