খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশসহ পরবর্তী করণীয় নিয়ে আমরা স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেব।’
ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে দলের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে।’
প্রায় তিন মাস আগে বিএনপি ১০ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে। ঢাকায় গণসমাবেশ করতে বিএনপি নয়াপল্টনের জন্য অনুমতি চেয়ে গত ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর ডিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করে। আগামীকাল শনিবার ঢাকার বিএনপির সমাবেশের দিন। কিন্তু এখনো সমাবেশের স্থান বুঝে পায়নি বিএনপি।
রাজধানীর নয়াপল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বিএনপির গণসমাবেশের জন্য সবশেষ আলোচনায় এসেছে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ। গতকাল রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের দীর্ঘ আলোচনার পর দুই পক্ষ এই জায়গায় পৌঁছায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সমাবেশস্থল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পুলিশের করা এসব মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ২ হাজার ৯৭৫ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। চার মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৮৫ জনকে।