প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘অসৌজন্যমূলক বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য জাফর আলমকে পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পেকুয়ার একটি নির্বাচনী সভায় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। দলের পদে থেকে তিনি এমন বক্তব্য দিতে পারেন না। এ জন্য তাঁকে পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তা আগামী সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে জবাব না দিলে জাফর আলমকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পেকুয়ায় নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করতে গিয়ে বক্তব্য দেন জাফর আলম। তখন তিনি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নানা কথা বলেন। ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ করেন দলীয় নেতাদের কেউ কেউ। তবে সংসদ সদস্যের দাবি, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোনো অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেননি। আবেগতাড়িত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আনুগত্য রেখে কিছু কথা বলেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে সংসদ সদস্য জাফর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রতীক ট্রাক। সেখানে নৌকার মনোনয়ন পান সালাহউদ্দিন আহমদ। কিন্তু ঋণখেলাপি হওয়ায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশন ও উচ্চ আদালতে আপিল করলেও তিনি প্রার্থিতা ফিরে পাননি।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য জাফর আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে বক্তব্যের বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, তাঁর বক্তব্যকে একটি মহল বিকৃতভাবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। পুরো বক্তব্য শুনলে বোঝা যাবে, তিনি আবেগতাড়িত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাঁর আনুগত্যের কথা বলেছেন। একই সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের জন্য কাজ করেও মনোনয়ন না পাওয়ার বেদনা সহযোদ্ধাদের কাছে ভাগ করে নিয়েছেন। একটি চিহ্নিত মহল তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করছে দেখে তিনি মর্মাহত হয়েছেন। এটা তাঁকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র বলে তিনি মনে করেন।