মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় প্রতিবেশীর বাসার ছাদ থেকে পড়ে জেসি মাহমুদ নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিভাবে হত্যা করা হয়েছে।
জেসি মাহমুদ শহরের আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন গভ. গার্লস হাই স্কুলের এসএসসির শিক্ষার্থী ও সৌদি আরব প্রবাসী সেলিম মাহমুদের মেয়ে।
খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। স্কুলছাত্রীর মুখমন্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মধ্য কোর্টগাও এলাকার সেলিম মাহমুদের মেয়ে জেসি মাহমুদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তবে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শৈবাল বসাক জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার ভাই পরিচয় দেওয়া এক যুবক। এসময় মেয়েটি অচেতন অবস্থায় ছিলো। পরে তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বড় ভাই জিদান অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রতিবেশী আরিফুর রহমানের ছেলে বিজয় ফোন দিয়ে জানায় আমার বোন হাসপাতালে আছে। সে তাদের বাসার ছাদ থেকে পড়ে গেছে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে এসে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বোনকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হই। পথিমধ্যে মুক্তারপুর সেতু পার হতেই দেখি তার শ্বাস-নিঃশ্বাস কাজ করছে না। এরপর আর তাকে ঢাকা না নিয়ে হাসপাতালে ফেরত আসি। হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসক জানান সে মারা গেছে।
তিনি বলেন, আমার বোন কীভাবে তাদের বাসার ছাদে গেল জানিনা। ওরা আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে বাসার ছাদে নিয়ে মারধর করে মেরে ফেলেছে।
অভিযোগের বিষয়ে শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, আমার বাসার ছাদ খোলা থাকে। মেয়েটি কীভাবে আমার বাসার ছাদে উঠেছে আমরা বুঝতে পারছি না। আমার বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে বলে আমি শুনেছি। আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছি। হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার্ড করে। এরপর শুনেছি সে মারা গেছে। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। পরিবারের হত্যার অভিযোগ এবং প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য দুটি সূত্র ধরেই আমরা কাজ করছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে চূড়ান্তভাবে বলা যাবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা।