ঢাকা শহরের তরুণ সমাজের জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই একটি করে ব্যায়ামাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার দুপুরে নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে নলগোলা বহুব্রীহির উন্নয়ন ও নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
শেখ তাপস বলেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের এ জায়গাটায় অত্যন্ত ভঙ্গুর ও ছোট একটি শরীরচর্চা কেন্দ্র ছিল। আমরা এটাকে উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি। এখানে তিনতলা বিশিষ্ট একটি অবকাঠামো হবে। অত্যন্ত নান্দনিক একটি নকশা করা হয়েছে। সেখানে শরীরচর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে এবং তরুণরা যেন বসতে পারেন, নদী উপভোগ করতে পারেন ও চা-কফি খেতে খেতে যেন নদীর পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ অবকাঠামোটা অত্র ওয়ার্ড তথা পুরাতন ঢাকার জন্য অত্যন্ত একটি চমকপ্রদ অবকাঠামো হবে। তরুণ সমাজকে গড়ে তুলতে এভাবেই আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। ঢাকা শহরে বিশেষ করে তরুণদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য, তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই আমরা একটি করে ব্যায়ামাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তরুণ সমাজের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, আমরা চাই, আমাদের তরুণ সমাজকে খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে। সেজন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে চাই। সেই লক্ষ্যে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডেই আমরা কার্যক্রম হাতে নিচ্ছি। আমরা ঢাকা শহরের তরুণ সমাজের জন্য আমাদের কার্যক্রম, আমাদের সেবাগুলো পৌঁছে দিতে চাই। যেন ঢাকা শহর একটি বাসযোগ্য নগরী হয়, একটি নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
মুক্তাঙ্গন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ঢাকা শহর একটি দখলের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। যেখানে দখল পাচ্ছি সেখানেই আমরা অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছি। এই মুক্তাঙ্গন দখল অবস্থায় ছিল। সেখানে একটি বাস্কেটবল কোর্টসহ যেন ছোট বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারে, সেভাবেই আমরা মাঠটা উন্নয়নের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। হয়তোবা আগামী মাসের মধ্যেই আমরা সেটা উদ্বোধন করতে পারব। সুতরাং কোনোভাবেই অবৈধ উপায়ে কেউ সড়ক, হাঁটার পথ দখল করে রাখতে পারবেন না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৭ আসেনর সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাজি সেলিম, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সামসুন নাহার ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।