নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কংস নদে নৌকা ডুবে নিখোঁজ স্বপন মিয়া (২৫) ও সোহেল মিয়ার (২১) লাশ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নদের পৃথক স্থান থেকে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন লাশ দুটি উদ্ধার করেন।
স্বপন মিয়া দুর্গাপুরের ডেউটুকোন গ্রামের আবু সিদ্দিকের ছেলে। আর সোহেল মিয়া পূর্বধলার আগমারকেন্ডা গ্রামের সাহেব উদ্দিনের ছেলে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসাছাত্র মাহবুব মিয়ার (১৩) লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে নৌকা ডুবে নিখোঁজ তিনজনেরই লাশ উদ্ধার করা হলো।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে পূর্বধলা উপজেলার জামতলা বাজার ও দুর্গাপুর উপজেলার মোচারবাড়ি ফেরিঘাটের নদের মাঝামাঝি স্থানে নৌকা ডুবে যায়। এ সময় অন্যরা সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও তিনজন নিখোঁজ হন। পরে গতকাল সকালে একজনের লাশ উদ্ধার হয়। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কংস নদের বারহাট্টার ফকিরের বাজার এলাকায় একটি ভাসমান লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করলে তা স্বপন মিয়ার লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন।
এদিকে আজ বেলা ১১টার দিকে নদের মোচারবাড়ি ফেরিঘাটে সোহেল মিয়ার ভাসমান দেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করেন।
পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ফারুক মিয়া বলেন, এই ফেরিঘাট দিয়ে নৌকায় করে লোকজন নিয়মিত নদ পার হন। গত বুধবার জামতলা বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসেছিল। এ জন্য নদ পারাপারে যাত্রীদের চাপ বেশি ছিল। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে জামধলা ফেরিঘাট থেকে প্রায় ২০ জন লোক নিয়ে নৌকাটি ছেড়ে যায়। নদের মাঝামাঝি অংশে স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে অন্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও তিনজন নিখোঁজ হন। তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান বলেন, নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সহযোগিতা করা হয়েছে।