ফুকরে ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি মুক্তি পেয়েছে গত ২৮ সেপ্টেম্বর। এই সিকুয়েলে ‘ভোলি পঞ্জাবন’ চরিত্রে আবার দাপট দেখালেন বলিউড অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে ফারহান আখতারের এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট অফিসে রিচা চাড্ডার সঙ্গে কথা হয়।
‘ফুকরে ৩’ বক্স অফিসে ভালোই সাড়া ফেলেছে। এই আড্ডার শুরুতেই উঠে এসেছিল তাঁর এই ছবির কথা। রিচা বলেন, ‘“ফুকরে” এখন একটা ব্র্যান্ড। আমি এর কৃতিত্ব নির্মাতা ফারহান আখতার ও রীতেশ সিধওয়ানিকে দিতে চাই। এক্সেলের কাজের পরিবেশ দুর্দান্ত।’ ছবিটি আদ্যোপান্ত হাসির ছবি। রিচা নিজে কমেডি ঘরানা কতটা উপভোগ করেন? তাঁর জবাব, ‘মানুষকে হাসানোর মতো আনন্দ আর কিছুতে পাওয়া যায় না। আমি নিজে কমেডি ঘরানার সিনেমা ভালোবাসি। কিন্তু বুঝে উঠতে পারি না, কেন নির্মাতারা আমাকে শুধু গুরুগম্ভীর চরিত্রের জন্যই ভাবেন।’
‘ফুকরে’ ও ‘ফুকরে ৩’ ছবির মধ্যে ১০ বছরের ব্যবধান। এই ১০ বছরে রিচার জীবন কতটা বদলেছে? রিচার ভাষায়, ‘এখন আমি গৃহিণী। তাই জীবন অনেকটাই বদলে গেছে। জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পেয়েছি। পেশাগত দিক থেকে এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে আমার এক সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সবকিছু মিলিয়ে এই ১০ বছরে অনেক ভালো কিছুই ঘটেছে।’
কথায় কথায় উঠে আসে রিচার দাম্পত্য জীবনের কথা। তাঁর স্বামী আলী ফজল অভিনেতা। ‘ফুকরে ৩’-এ অতিথি চরিত্রে আছেন তিনি।
আলীর প্রসঙ্গে রিচা বলেন, ‘আমরা নিজেরা চিত্রনাট্য নিয়ে আলোচনা করি। হাজার ব্যস্ততার মধ্যে একসঙ্গে বসে একটা ছবি বা সিরিজ কিছু একটা দেখি। একে অপরকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করি। এটাকে আমরা প্রাধান্য দিই। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একে অপরকে আলিঙ্গন করি। এটা আমাদের বৈবাহিক সম্পর্কের একটা রীতি। ভাবতেও ভালো লাগে, আলী আর আমি যখন প্রেম করতাম, তখন তার কাছে একটা সাইকেল ছিল। আমার ছিল গাড়ি। আমরা একসঙ্গেই বেড়ে উঠেছি।’
মানুষকে হাসানোর মতো আনন্দ আর কিছুতে পাওয়া যায় না। আমি নিজে কমেডি ঘরানার সিনেমা ভালোবাসি।
রিচাকে শক্তিশালী চরিত্রে বেশি দেখা যায়। একটা ছবি নির্বাচনের আগে এই অভিনেত্রী দেখেন, গল্প তাঁর চরিত্রের হাত ধরে এগোচ্ছে কি না।
তিনি বলেন, ‘আমাকে ছাড়া যদি ছবির কাহিনি এগোয়, সেই ছবি করি না। এমনকি বড় নির্মাতার ছবি হলেও ফিরিয়ে দিই। এটাও দেখি, চরিত্রটা আমার জন্য নতুন কি না। এ ছাড়া অর্থের দিকটাও ভাবতে হয়। আমি বহিরাগত, তাই এদিকটাও মাথায় রাখি।’
রিচা ইন্ডাস্ট্রিতে ১৫ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন। তারপরও নিজেকে বহিরাগত কেন মনে করেন তিনি?
তাঁর জবাব, ‘দেখুন নিজেকে বহিরাগত ভাবতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমরা বহিরাগতই থাকব। তবে তারকা পরিবার থেকে আসা শিল্পীদের নিয়ে আমি মোটেও নেতিবাচক কিছু ভাবি না। তাঁদের ভ্রমণ আলাদা। তাঁদের ক্যারিয়ারেও নানা সংগ্রাম আছে।’