দুই সেলফিতে রাজনীতির সব ‘ফয়সালা’ হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

0
184
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ছবি: সংগৃহীত

এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতে রাজনীতির সব ‘ফয়সালা’ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তাঁর মতে, দুই সেলফিতে বিএনপির রাতের ঘুম শেষ।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। চিকিৎসার জন্য ১৬ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসা শেষে আজ সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নীতির পরোয়া আওয়ামী লীগ করে না। তিনি বলেন, ‘ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞা কেন? এটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য। আমরা অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। এটা আমাদের ঘোষণা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার জাতির সামনে অঙ্গীকার করেছেন। অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করব।’

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা নির্বাচন চায় না, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের আন্দোলনের বারোটা বেজে গেছে, তারা এখন হতাশা থেকে সবকিছুতেই ইস্যু কিংবা আনন্দ খুঁজে বেড়াচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি হলে ক্ষতিটা তাদের। কারণ, তারা নির্বাচনে বাধা দেবে। বাধা দিতে এলে তখন আমরা দেখব ভিসা নীতি বাস্তবায়নের বাস্তবতাটা।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন।

গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন, বাংলাদেশেও সেভাবে

সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো যৌক্তিকতা নেই। উচ্চ আদালত এটা বাতিল করে দিয়েছেন। সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে বিদেশিদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি তাদের ব্যাপার। এখানে পর্যবেক্ষক পাঠানোর নিয়ম আছে। ভিয়েনা কনভেনশন আছে। তিনি বলেন, ভোট দেবে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। গণতন্ত্র সুরক্ষিত করতে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া বিএনপি নির্বাচন হতে দেবে না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ইচ্ছাতেই কি নির্বাচন হবে? বিএনপি নির্বাচন চায় না। তারা যদি নির্বাচন বয়কট করতে চায়, করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। বিএনপির নির্বাচনে আসাটা তাদের অধিকার। তবে নির্বাচনে না এসে নির্বাচনবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র করলে জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।

অক্টোবরে বিএনপির ‘মরণ কামড়’ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মরণ কামড় দিতে গিয়ে বিএনপিই মরে ভূত হয়ে যাবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.