বিয়ের অনুষ্ঠানে ছবি তোলা যাবে না, ভিডিও করা যাবে না। বিয়ের কোনো ভিডিও এবং ছবি যাতে প্রকাশ্যে না আসে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা বিয়ের আসরে যাবেন, তাঁদের প্রত্যেকের মুঠোফোনের ক্যামেরায় নীল রঙের ‘টেপ’ লাগিয়ে দেওয়া হবে। এই বিশেষ নীলরঙা টেপের বিশেষত্ব হলো, কেউ টেপটি খুলে ফেলার চেষ্টা করলে একটি তিরচিহ্ন দেখা যাবে। এর ফলে হোটেলের নিরাপত্তাকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারবেন, কেউ টেপটি তুলে ফেলেছেন। শুধু নিমন্ত্রিত ব্যক্তিদের নয়, হোটেলকর্মী, ডেকোরেটর, শেফসহ সবার মুঠোফোনে টেপ লাগানো হয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা, কে মানে কার বাধা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বলিউড তারকা পরিণীতির বিয়ের আসরের নানা রকম ভিডিও। কোনো কড়াকড়ি ধোপে টেকেনি।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, রাত পোহালেই বিয়ে। রোববার সাত পাকে বাঁধা পড়বেন বলিউড তারকা পরিণীতি চোপড়া-রাজনীতিবিদ রাঘব চাড্ডা।
রাজস্থানের তাজ লীলা প্যালেসে চলেছে মহা আয়োজন। উদয়পুরের লীলা প্যালেস এখন আলোয়–আলোয় ঝলমল করছে। এখানেই ২৪ সেপ্টেম্বর সাত পাকে বাঁধা পড়বেন রাঘব ও পরিণীতি। হবু দম্পতি ইতিমধ্যে উদয়পুরে পৌঁছে গেছেন। সেখানেই বসবে বিয়ের আসর।
আগেই বলা হয়েছে, বিয়েতে অতিথিদের জন্য নিয়ম কড়া। ছবি বা ভিডিও তোলা নাকি নিষিদ্ধ! কিন্তু নিয়ম ভেঙে ফেললেন নব্বইয়ের আলোচিত তারকা ম্যায়নে পেয়ার কিয়া নায়িকা ভাগ্যশ্রী। লীলা প্যালেসে মহা আয়োজন দেখে ক্যামেরাবন্দী করার লোভ সামলাতে পারলেন না তিনি। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আয়োজনের একাধিক ভিডিও–ছবি তো তুললেনই, আবার ইনস্টাগ্রামে ফাঁসও করে ফেললেন সেগুলো। ভিডিওতে তাঁর হাসিমুখ দেখাতেও কার্পণ্য করেননি। প্রমাণ রেখেছেন, ভিডিও তিনি নিজেই করেছেন!
ভাগ্যশ্রীর শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেল, এই বিয়ের সব অনুষ্ঠানই রাজকীয়, তবে তাতে কোনো পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ছোঁয়া নেই, পুরোটাই ভারতীয় যেন। রাতের খাবারের ডাইনিং টেবিল থেকে সুইমিংপুল, জলাশয় দিয়ে ঘেরা বাগান, সবই আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে। সেখানেই বসে গান গাইছেন রাজস্থানের শিল্পীরা। রাতের খাবরের টেবিল গোলাপ দিয়ে সাজানো।
শুধু এ ভিডিও নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ের অনুষ্ঠানের আরও কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পরিণীতিকে ঢাকঢোল পিটিয়ে ও ফুল দিয়ে লীলা প্যালেসে স্বাগত জানানো হচ্ছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সেজেগুজে লাইফ জ্যাকেট গায়ে নৌকায় অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন।
শনিবার ‘ওয়েলকাম লাঞ্চ’-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু। এদিন পরিণীতির ‘চূড়া সেরিমনি’। বর-কনে দুই পরিবারই পাঞ্জাবি। তাই পাঞ্জাবি রীতিনীতি মেনেই হবে বিয়ের সব অনুষ্ঠান।
রোববার রাঘবের ‘সেহরাবন্দী’র মাধ্যমে শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। ঘোড়ায় চড়ে নয়, নৌকায় পরিণীতিকে বিয়ে করতে যাবেন রাঘব। রাঘব ও পরিণীতির এই রাজকীয় বিয়েতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ছাড়াও দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদেরা শামিল হবেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বিয়ের সবকিছু গোপন রাখার জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং বর–কনের পরিবারের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। হোটেলকর্মী ছাড়া অন্য কেউ হোটেলে প্রবেশ করলে তাঁর সম্পূর্ণ স্ক্যানিং হবে। তবে হোটেলের কর্মচারীদের জন্য বিশেষ কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা এই বিশেষ কার্ড ছাড়া হোটেলে প্রবেশ করতে পারবেন না। কার্ডের সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে বিশেষ নম্বর দেওয়া হয়েছে।
